ব্যুরো নিউজ,১ আগস্ট: একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। বাংলার সর্বত্রই এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বহু মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার দার্জিলিং জেলার একাধিক নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছিল, তার তদন্ত বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। কেন তদন্ত হচ্ছে না? এই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছে ঠিক, তবে রাজ্য নিজে যে মামলা করেছে, যার তদন্ত সিআইডিকে দেওয়া হয়েছিল সেই তদন্ত বন্ধ রাখার কারণ কি, তা জানাতে হবে।
মমতার সরকার হিসাব দেয় না, তবে পুরনো অভ্যাস বদলাচ্ছে, সংসদে মন্তব্য অমিত শাহের
হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার:
মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আর সেই সূত্রেই আদালতে কিছু বেনামী চিঠি পাওয়া যায়।চিঠির সূত্র ধরে আবার পাহাড়ে জিটিএর অন্তর্গত বেশ কিছু স্কুলে নিয়োগ-দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিনয় তামাং মূল মাথা হিসেবে ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে এবং এই দুর্নীতি করার পিছনে একজন ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর বা ডিআই এবং তৃণমূল ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জড়িত বলে দাবি করা হয়েছিল।
দেশজুড়ে ব্যাঙ্কিং সিস্টেম টালমাটাল!সাইবার হানায় টাকা লেনদেন প্রায় বন্ধ
দার্জিলিং জেলায় প্রাইমারি থেকে সেকেন্ডারি পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই কয়েক হাজার নিয়োগ হয়েছে, এরকম অভিযোগ উঠেছে। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, সরকারের তরফে হলফনামায় এই বিষয়টি মেনে নেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিলে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে শুনানি চলছে। এই ঘটনায় রাজ্যই একটি এফআইআর দায়ের করে। আর সেই তদন্ত বন্ধ থাকা নিয়েই রাজ্য সরকার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। হাইকোর্টে মামলাকারী আইনজীবী বলেন, পুলিশ আধিকারিকরা তদন্ত বন্ধ করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত না করাটা প্রমাণ দেয়, সরকার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত তো চায় না, বরঞ্চ এই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়ে যায়। রাজ্যের তরফে সিআইডি তদন্ত চলা শুরু হলেও পরবর্তীতে তা কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই বিষয়টি জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।