ব্যুরো নিউজ ২৯ অক্টোবর : পুজোর ছুটি প্রায় শেষ হয়ে এসেছে ,তাই এই ছুটি ভাল করে উপভোগ করার জন্য এক সপ্তাহ কাটিয়ে আসার এটি হল একেবারে আদর্শ জায়গা । তাই আর সময় নষ্ট না করে চলুন জেনে নিই পাহাড়ের এক আজানা গ্রামের কথা। নাম হল পালমাজুয়া, পালমাজুয়ার চমৎকার মেঘমাখা রাস্তা আপনাকে কল্পনার জগতে নিয়ে যেতে পারে ।পাহাড়ে মেঘ দেখা যায় সেটা আমরা সবাই জানি ।কিন্তু পালমাজুয়ার গ্রামে মেঘ নিজে উড়ে আসে এলাকার ঘরে ঘরে। দার্জিলিঙের কোলে লুকিয়ে থাকা এই গ্রামে যতদূর চোখ যায়, চা বাগান আর কমলালেবুর গাছের সারি দেখা যায় । পাহাড়ের কোলঘেঁষে মেঘ এসে জড়িয়ে ধরে প্রতিটি ঘর, আর সকাল-বিকেল শোনা যায় নানা পাখির কলরব। এই গ্রামে আপনার দেখা মিলতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘার সাথে খেলা করা পাহাড়ি পাখিদের, আর ভাগ্য ভালো হলে দেখা পেতে পারেন মিষ্টি রেড পাণ্ডারও।
প্রধানমন্ত্রী মোদির তৃতীয়বারের জন্য বিশ্বভারতীর আচার্য হওয়ার প্রস্তুতি
কি কি দেখা যাবে ?
সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই। পথে চোখে পড়বে ছোট ছোট ঝর্না, পাইন, অক, বারচ আর ধুপি গাছের ঘন জঙ্গল। এই অঞ্চলে হরিণ, রেড পাণ্ডা এবং ভাগ্য সহায় হলে পাঙ্গোলিনও চোখে পড়বে। যারা প্রকৃতির মাঝে নিঃশব্দ পরিবেশে নির্জনে সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য পালমাজুয়া যেন এক স্বর্গরাজ্য।এই গ্রাম দার্জিলিংয়ের খুব কাছে, আর মিরিকও সহজেই পৌঁছানো যায়। মিরিকের বিখ্যাত চা বাগান ছাড়াও পালমাজুয়ায় রয়েছে কমলালেবুর বাগান আর একটি তিব্বতি গুম্ফা, যা এই গ্রামকে এক অনন্য পরিচিতি দিয়েছে। শীতল হাওয়ার জন্য এটি শীতপ্রেমীদের একটি বিশেষ আকর্ষণ, আর যারা গরম এড়াতে চান তাদের জন্য আদর্শ স্থান।পালমাজুয়ার মধ্যে থেকে টুইলিং ভিউ পয়েন্ট এবং টিবেটিয়ান মনেস্ট্রি হল বিশেষ আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান।এই দুই ভিউ পয়েন্ট দেখা হলে মিনিট পনেরোর হাঁটায় পৌঁছানো যাবে পালমাজুয়া ভিউ পয়েন্টে, যেখানে থেকে সিকিমের দারামদিন এবং পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য মন ভরিয়ে দেবে। যারা মাছ ধরার সখ করেন, তাদের জন্য আছে শিলখোলার পাহাড়ি নদী। এখানে মাছ ধরার সাথে সাথে রান্না করেও খেতে পারবেন। এছাড়াও গ্রাম সংলগ্ন আরও অনেক ট্রেকিং স্পট রয়েছে, যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
দিল্লিতে প্রবল বায়ু ও জল দূষণের সংকটঃ দীপাবলিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা
পালমাজুয়ার মানুষদের অতিথিপরায়ণতাও ভ্রমণকারীদের মন জয় করে নেয়। নেপালি রাই ও শেরপা সম্প্রদায়ের বাস এই গ্রামে। তাদের আপ্যায়ন আর আন্তরিকতা পর্যটকদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে নেয়।যেতে হলে ট্রেন বা প্লেনে নিউ জলপাইগুড়ি (NGP) পৌঁছান, সেখান থেকে গাড়িতে করে মিরিক। মিরিক থেকে পালমাজুয়া আর মাত্র কিছু দূরেই।