[rank_math_breadcrumb]
অশরীরী পরিচ্ছদ-৪

<><><><>ভূমিকা<><><><>
পৃথিবীর রেল মানচিএে এমন,এমন রহস্যময় ও বিচিএ স্থানের উল্লেখ আছে, যা কল্পনা করাও কঠিন ও এক কথায় যুক্তিগ্রাহ্য নয়! যেমন সুদুর ইউকেটান পার্বত্য উপত্যকার ভৌতিক রেলপথ ও রেলওয়ে স্টেশন সাইবেরিয়ান ভৌতিক রেলপথ ও ভৌতিক স্টেশন গুলো, অধুনা ব্রিটিশ ইস্ট আফ্রিকান ভৌতিক রেলওয়ে লাইন্স্ ও বিভিন্ন ভুতুড়ে স্টেশন গুলো… ইজিপ্সিয়ান ও লিবিয়ান ভৌতিক রেলওয়ে লাইন্স্ ও বিভিন্ন ভুতুড়ে স্টেশন গুলোর গায়ে কাঁটা দেওয়া কাহিনী, ইথিওপিয়ান,সুদান ভুতুড়ে রেলওয়ে লাইন্স ও ভুতুড়ে রেলওয়ে স্টেশনস এবং শরীরে শিহরণ জাগানো, ইউরোপিয়ান রেলওয়ে লাইন্সের অজস্র ভুতুড়ে কাহিনী ও অজস্র স্টেশনের রোমহর্ষক ভৌতিক এনকাউন্টার সহ দক্ষিণ ও উওর আমেরিকা মহাদেশের রেলওয়ে লাইন্সের সত্যি ভৌতিক কাহিনী বিন্যাস আপনাদের নিজের নিজের বাড়ীতেই ঘুরতে ফিরতে, ভীতি জনক হয়ে উঠবে। পৃথিবীর কোন সাহিত্যিকের কলম থেকে এই ভাবে সরাসরি প্রেত লোকের কথা উঠে আসেনি|

সাহিত্যিকঃ ডঃ অরুণ চক্রবর্তী

কতোক্ষণ কেটেছে জানি না, প্যাট্রিক উলুম্বা, শূন্য থেকে যেন আবির্ভূত হলো, কিন্তু, কোথায় তার মাসাইয়ের পোশাক, এ তো পাক্কা সাহেবী পোশাক! সাদা প্যান্টুলুন, সাদা জামা, কালো কোট, কালো জুতো, হাতে স্টেশন মাস্টারের ফাইল! সটান আমাদের সামনে উপস্থিত, গম্ভীর কন্ঠে বললে, আমি দুঃখিত, এই ভাবে, ডিউটি না করলে, ব্রিটিশ বস্ রা চাকরী খেয়ে নেবে। তাই, একটু দেরী হলো। লক্ষ্য করলাম, সে চেয়ারে বসলো বটে, কিন্তু, সে চেয়ারের ওপরে ভেসে আছে, আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নামতে লাগলো! যা ভেবেছিলাম, একেবারে তাই, এ মূর্তিমান প্রেত! ঘোলাটে দু চোখের চাহনী, মুখে অসংখ্য নখের দাগ! কী ভীষণ দর্শন! তখন ভালো করে দেখিনি, এখন কিন্তু, পরিষ্কার দেখতে পেলাম, কী সাংঘাতিক দর্শন! মাথায় অর্ধেক চুল নেই! অসংখ্য বলিরেখায় ভর্তি মুখ উলুম্বার, এই কুৎসিত দর্শন, মানুষটির মুক্তি হয়নি! তাই এই বিকট দর্শনে সে রয়ে গেছে! এবার সে ঝুঁকে আমাকে সবিশেষ পর্যবেক্ষণ করছে যেন! এইবার আমার জীবনে সত্যি, মিথ্যের তুল্যমূল্য বিচার চলতে লাগলো, আমি নিজের অজান্তেই জড়বৎ হয়ে যাচ্ছি, আমি যেন চিন্তার অতলে তলিয়ে যাচ্ছি! স্থান, কাল, পাএ, বিস্মৃত হচ্ছি! এ কি ঘটছে, আমার চোখের সামনে!! আমার মাথায় ঘুরপাক্ খাচ্ছে, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সাক্ষাৎ শিষ্য, স্বামী অভেদানন্দের বিখ্যাত বই “মরণের পারে”র প্রেতের একটোপ্লাজমিক প্রজেকশনের কথা! কই, এখানে তো উলুম্বাকে সে রকম কোনও শুক্ষ্ম দেহী, মনে হচ্ছে না! তবে হ্যাঁ, একে জলজ্যান্ত মানুষও বলা যাচ্ছে না! এখন ষাট বছরের ওপরে কিনিয়া দেশটা স্বাধীন হয়ে গেছে! কিন্তু, লোকটি এখনও ব্রিটিশ শাসকদের কথা বলছে! আশ্চর্য্য সময় কালের, বৈপরীত্য! এটাই জানান্ দিচ্ছে, এই উলুম্বা একজন প্রাচীন আফ্রিকান, এ সেই সময়ের লোক, যখন আফ্রিকাকে বলা হতো, ঘুমন্ত মহাদেশ আফ্রিকা! প্রেত উলুম্বা, ইংরেজিতে কথা বলে চলেছে, আফ্রিকান উচ্চারণে, ও বলে ওঠে তোমাদের তো খাওয়া দাওয়া হয়নি, তাই আমি, তোমাদের জন্য কিছু খাবার আনিয়েছি, বলেই দু হাতে তালি দিয়ে, মারেঙ্গা ও দিম্বো, বলে দুজনকে ডাকতে লাগলো! মারেঙ্গা… দিম্বো! মারেঙ্গা…দিন্বো! আপনারা বিশ্বাস্ করবেন না, দুই ভীষণ দর্শনা, সম্পূর্ণ নিরাভরণ, মিশ্ কালো, দুটি নারী মূর্তির, আবির্ভাব ঘটলো।।

(REGISTERED UNDER COPYRIGHT ACT)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর