ব্যুরো নিউজ,১৩ সেপ্টেম্বর:মাত্র ৪৮ বছর বয়সী অভিনেতা বিকাশ শেঠির হঠাৎ মৃত্যু সম্প্রতি চমকে দিয়েছে। ঘুমের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর, যদিও মৃত্যুর আগের দিন তিনি সাধারণ অসুস্থতায় ভুগছিলেন। বিকাশ নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন, কিন্তু কিছুদিন আগে তিনি জ্বর, বদহজম ও পেটখারাপের মতো লক্ষণে ভুগছিলেন। এসব সাধারণ সমস্যা মনে করে তিনি প্রথমে চিকিৎসকের কাছে যেতে চাননি, তবে স্ত্রীর অনুরোধে শেষে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুর্ভাগ্যবশত, চিকিৎসকের আসার আগেই রাতে ঘুমের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।গুরুতর বিষয় হলো, সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের সময়ে বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়, কিন্তু বিকাশের ক্ষেত্রে এমন কোনো লক্ষণ ছিল না। এই ঘটনা অনেকের মনে প্রশ্ন তুলেছে—বুকে ব্যথা ছাড়াও কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে?বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সুধীর কুমার বলেছেন, ‘‘বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ হলেও, ৮০-৮৩ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা নাও হতে পারে।’’ তিনি জানান যে, হৃৎপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে পুরো শরীরে চাপ তৈরি হয়, যা হজমের সমস্যা, ডায়েরিয়া বা বমির কারণ হতে পারে।
শিক্ষারত্ন সম্মান ফিরিয়ে দিলেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক: প্রতিবাদে নতুন মাইলফলক
কাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেশি?
চিকিৎসক কুমার আরও জানান, কিছু রোগীর ক্ষেত্রে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বোঝার জন্য সময় লেগে যায় কারণ তারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন না। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, মধ্যবয়সী পুরুষ এবং যারা কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশনের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি।
পান্না রত্নের সাতটি বিশেষ গুণ: জীবনের নানা দিক থেকে উপকারিতা
হার্ট অ্যাটাক এড়ানোর উপায় কী?
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মাধ্যমে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ইসিজি বা রক্ত পরীক্ষা দ্বারা কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো বিষয়গুলো নজরে রেখে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমানো যায়।এই ঘটনা আমাদের সবাইকে সতর্ক করে দেয় যে, হৃদ্রোগের লক্ষণগুলো বোঝা ও নিয়মিত পরীক্ষা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।