ব্যুরো নিউজ, ২৭ ডিসেম্বর:হৃদরোগ একটি অপ্রত্যাশিত রোগ, যা কখনো কখনো জীবন সংকট সৃষ্টি করে। হার্ট অ্যাটাক এমন একটি সমস্যা, যা আচমকা চলে আসে এবং অনেক ক্ষেত্রে মানুষের পক্ষে সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগও পাওয়া যায় না। তবে, সম্প্রতি করা একটি গবেষণায় জানা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ছোটবেলা থেকেই সনাক্ত করা যেতে পারে এবং এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই গবেষণাটি করেছে হার্ভার্ডের পিলগ্রিম হেলথকেয়ার ইনস্টিটিউট এবং এর ফলাফলগুলো প্রকাশিত হয়েছে জামা কার্ডিওলজি মেডিক্যাল পত্রিকায়।
শস্যবীজের তেল ব্যবহার করে কমবয়সিদের মধ্যেও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন সেটা কি জানেন?
জীবনযাত্রার অস্বাভাবিকতা
গবেষণাটি বলছে, ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের ভবিষ্যতে হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ধারণ করা সম্ভব। গবেষকেরা জানিয়েছেন, তারা প্রায় ১৫০০ শিশুর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন, যেমন খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম, ঘুমের সময়, বিএমআই, রক্তচাপ, রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ। দীর্ঘদিন ধরে এই তথ্য সংগ্রহ করে তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, যা হলো—১০ বছর বয়স থেকেই শিশুদের হৃদরের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে শুরু করে।গবেষকরা জানাচ্ছেন, ১০ বছর বয়সে শিশুরা বাবা-মায়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে কিছুটা স্বাধীন হতে শুরু করে এবং তখন তাদের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আসে। বাইরের খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে, যা হৃদয়ের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এছাড়া, অনিয়মিত ঘুম, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং জীবনযাত্রার অস্বাভাবিকতা হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
শীতের মরসুমে মিষ্টি কমলালেবু কেনার সেরা টিপস রইল আপনাদের জন্য
ড. ইজাজউদ্দিন আরিস, যিনি হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের সহ অধ্যাপক, তিনি এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যদি ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন শুরু করা যায়, তবে ভবিষ্যতে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।” তিনি আরও বলেন, ১৫ বছর বয়সে দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধও দেওয়া যেতে পারে, তবে সঠিক জীবনযাত্রার মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ সম্ভব।