ব্যুরো নিউজ,৩ আগস্ট:বাংলা জুড়ে হকার উচ্ছেদে বুলডোজার চলছেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা এবং ফুটপাত থেকে জবরদখলকারীদের সরানোর জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। আর তারপরেই পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ঝাঁপিয়ে পড়েন রাস্তার উপরে থাকা হকার এবং দোকানদারদের তুলে দেওয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, একেবারে বুলডোজার এবং জেসিবি এনে তাদের একমাত্র রুটিরুজির জায়গা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
বাজারে ছ্যাকা বিধানসভায় বিক্ষোভ শুভেন্দুর
হকার উচ্ছেদ নিয়ে আন্দোলনের পথে বিজেপি:
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যপালদের সক্রিয়তার বার্তা, শুরু হলো প্রথম গভর্নর কনফারেন্স
যখন এই বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলা, ঠিক পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠছে দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন। আর সেখানে ঘোষণা করেন, আপাতত রাজ্যজুড়ে হকার উচ্ছেদ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সমস্ত কর্পোরেশন, পুরসভা, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা একত্রিতভাবে হকারদের সঙ্গে কথা বলে, যারা স্থানীয় এবং সত্যিকারের হকারির উপরে দাঁড়িয়েই তাদের সংসার বা রুটিরুজি চলে তাদের তালিকা প্রস্তুত করে কিভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায় এবং পাশাপাশি রাস্তা বা ফুটপাতকে কিছুটা হলেও মানুষের চলাচলের উপযোগী করা যায়, সেই বিষয়ে একটি কমিটি গড়ে দিয়ে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ওই পর্যন্তই সার.. তারপরও কিন্তু মমতার বুলডোজার চালানো বন্ধ হয়নি। একের পর এক জেলা থেকে পুলিশ প্রশাসন আধিকারিকদের বুলডোজার চালিয়ে রাস্তার ধারে থাকা হকার এবং গরিব দোকানদারদের রুটিরুজির স্থানগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বুলডোজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিচ্ছেন, অন্যদিকে সমস্ত জেলায় পুলিশ প্রশাসন সেই বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সব। ফলে একাধিক প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কি জেনেশুনে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? বা প্রেস কনফারেন্স এক কথা বলে গোপনে প্রশাসনকে অন্য নির্দেশ দিয়েছেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার এইভাবে বলপূর্বক হকার উচ্ছেদের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সজোরে ধাক্কা দেয় তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি, তুমুল বিক্ষোভ বিধানসভায়
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন সিং এর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের দখলদারদের উচ্ছেদের ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের দাবি করছেন। আর বাংলায় রাজ্যের যে সমস্ত ফুটপাত দখল করে দখলদাররা রয়েছেন, তাদের তিনি পুনর্বাসন দিচ্ছেন না। তাহলে কি এটা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিচারিতা নয়? পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের অফিস গুড়িয়ে দিলেও তৃণমূলের পার্টি অফিসগুলোকে হঠাৎ ওয়ার্ড অফিসে পরিণত করা হচ্ছে, অভিযোগ অর্জুন সিং এর। আর এর বিরুদ্ধে বিজেপি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অর্জুন সিং। হকারদের পুনর্বাসনের দাবিতে জেলা জুড়ে জোরদার আন্দোলন সংগঠিত করতে চলেছে বিজেপি, পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারের কাছে তারা স্মারকলিপি জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন।
প্যারিস অলিম্পিক্স এ আরো একটি পদক স্বপ্নীল এর হাত ধরে
অর্জুনের কথায়, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পের জমিতে শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর কাচড়াপাড়া থেকে ডানলপ পর্যন্ত বন্ধ কারখানা একটিও খোলেনি। উল্টে আরো ৭০ থেকে ৭২টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে একের পর এক নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে এবার জোর করে হকার উচ্ছেদের বিরোধিতায় পথে নামতে চলেছে বিজেপি। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।