শীতকালে ঠাণ্ডা জল খেলে

ব্যুরো নিউজ, ৫ ডিসেম্বর : আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হন যারা ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বের করে খান বা শীতে গরম না করে ঠান্ডা জল পান করেন তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। যদিও ঠান্ডা জল তৃষ্ণা মেটাতে সহায়ক মনে হয়, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আয়ুর্বেদের মতে ঠান্ডা জল পান করা স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করতে পারে।

শীতে ঠাণ্ডা বাড়ার সাথে সাথে মেরুদণ্ডের ব্যথার চিন্তা বাড়ছে ? তাহলে জেনে নিন সমাধান !

 ঠান্ডা জল পানের অপকারিতা

হজমের ক্ষতি

আয়ুর্বেদের মতে, ঠান্ডা জল পান করলে হজমের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। হজমকে ‘আগুন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ঠান্ডা জল এই আগুনকে নষ্ট করে দেয়। এর ফলে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও বমি সহ নানা সমস্যা হতে পারে। আরও গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা জল রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে, যার ফলে হজমের প্রক্রিয়া আরও ধীর হয়ে যায়।

হার্টের উপর খারাপ প্রভাব

ঠান্ডা জল পান করা শরীরের হৃদস্পন্দন কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, রেফ্রিজারেটর থেকে ঠান্ডা জল পান করলে দশম ক্র্যানিয়াল নার্ভ (ভ্যাগাস নার্ভ) উদ্দীপিত হয়। এই নার্ভটি শরীরের অনিচ্ছাকৃত কাজগুলির নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত ঠান্ডা জল পান করলে ভ্যাগাস নার্ভের প্রভাব পড়ে এবং হার্ট রেট কমিয়ে দেয়।

মাথাব্যথা

যতটা অস্বস্তিকর, ততটাই ক্ষতিকর যখন আপনি প্রচণ্ড গরমের পরে ঠান্ডা জল পান করেন। এটি মস্তিষ্কের স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। ঠান্ডা জল শরীরের মেরুদণ্ডের স্নায়ুগুলিকে ঠান্ডা করে, যা মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং মাথাব্যথা সৃষ্টি করে।

আপনার বাচ্চার পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে চান? জেনে নিন কিছু সহজ উপায়

স্থূলতা

আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ঠান্ডা জল পান এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা জল শরীরের চর্বি পোড়াতে বাধা সৃষ্টি করে। এতে শরীরের চর্বি শক্ত হয়ে যায়, যার ফলে স্থূলতা থেকে মুক্তি পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

গলা ব্যথা

ঠান্ডা জল পান করলে গলা ও শ্বাসনালীর শ্লেষ্মা জমতে শুরু করতে পারে। এটি গলা ব্যথা, কফ, সর্দি, এবং গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে ঠান্ডা জল খাওয়ার পর গলার বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর