ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর:সম্প্রতি দাবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেতাব জিতেছেন ভারতের গুকেশ। তিনি সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চিনের ডিং লিরেনকে হারিয়ে বিশ্বজয় করেছেন তিনি যা ভারতীয় দাবা ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে দাবার খেলায় বিশ্বকে চমকিত করে আসছে। দাবার এই খেলা শুরু হয়েছিল প্রাচীনকালে এবং এর সম্পর্ক রামায়ণের চরিত্র মন্দোদরীর সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হয়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ঃ হাইব্রিড মডেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে ভারত-পাকিস্তান
কেন দাবা খেলাটি সৃষ্টি করেছিলেন?
কেন মন্দোদরী দাবা খেলাটি সৃষ্টি করেছিলেন? ইতিহাস বলছে, রাবণের চরিত্র ছিল যুদ্ধপ্রবণ এবং আগ্রাসী, তিনি সবসময় প্রতিপক্ষকে পরাজিত করার চেষ্টায় থাকতেন। মন্দোদরী, রাবণের স্ত্রী।তিনি তার স্বামীর এই যুদ্ধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি এমন একটি খেলা তৈরি করেছিলেন যার মাধ্যমে যুদ্ধের উত্তেজনা এবং আক্রমণাত্মক মনোভাবকে থামিয়ে দেওয়া যেত। দাবা, যার সাদাকালো গুটিগুলি, হাতি, ঘোড়া এবং রাজা-মন্ত্রীসহ অন্যান্য উপাদান ছিল, এক ধরনের যুদ্ধের কৌশল পরিভাষা হিসেবে তৈরি হয়েছিল। এই খেলা যে শুধুমাত্র মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের প্রতীক ছিল।অনেকের মতে, মন্দোদরীর চতুর পরিকল্পনারই অংশ ছিল এটি।
ব্রিসবেন টেস্টে ভারতের দলে দুই বদলঃ সুযোগ পেলেন জাডেজা ও আকাশ দীপ
দাবার বোর্ডের ৬৪টি খানা ঘরে রাজার ধীর পদক্ষেপ থেকে শুরু করে মন্ত্রীর কৌশলী চাল পর্যন্ত সবকিছুই যেন এক প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রের নকশা। এতে যেমন যুদ্ধের উত্তেজনা ছিল তেমনি এর মধ্যে ছিল কৌশল ও পরিকল্পনার গুরুত্ব। মন্দোদরী যুদ্ধের অশান্তি থামাতে চেয়েছিলেন এবং তিনি এই খেলাকে যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে তৈরি করেছিলেন। তবে দাবার খেলাটি এর পর পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে প্রথম দাবা খেলার উৎপত্তি হয় এবং পরে পারস্য ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।এই প্রাচীন খেলাটির উত্তেজনা ও কৌশলের ঐতিহ্যকে নতুন প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছে। গুকেশ ১৮ বছর বয়সেই পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতের দাবা খেলায় যে প্রতিভা রয়েছে, তা বিশ্বকে একেবারে নতুন করে মাতিয়ে দিতে সক্ষম।