পরিবেশগত ক্ষতিপূরণের

ব্যুরো নিউজ,১১ ডিসেম্বর:দু’বছর আগে কঠিন ও তরল বর্জ্যের ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার কারণে রাজ্য সরকারের উপরে জাতীয় পরিবেশ আদালত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পৃথক তহবিল তৈরি করে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে ওই অর্থ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজে লাগাতে হবে। রাজ্য সরকার সেই তহবিল গঠন করলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে অনীহা এবং দীর্ঘসূত্রতার জন্য পরিবেশ আদালতের সমালোচনার মুখে পড়েছে।

শহরে বেআইনি কল সেন্টারের কারবার, মুলেন স্ট্রিটে ১৯ জন গ্রেফতার

খাল দূষণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম


কেষ্টপুর-বাগজোলা খালের দূষণ নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালত সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, এসটিপি তৈরির জন্য জমি না পাওয়া, দরপত্রে সাড়া না পাওয়া এবং খালপাড়ের জবরদখলকারীদের পুনর্বাসন না করা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সরকার কার্যত উদাসীন। খালপাড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর অর্থ অনুমোদনেও দেরি হচ্ছে।আদালত একাধিকবার উল্লেখ করেছে যে, পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেছেন, ‘‘সরকারের এই গাফিলতি এবং উদাসীনতা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে পরিবেশকে কতটা হেলাফেলার সঙ্গে দেখা হয়।’’

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের নাম পাল্টে শৈলেন মান্না সরণি

সরকারি পক্ষ থেকে দরপত্রে সাড়া না পাওয়ার যুক্তি দেওয়া হলেও আদালত সাফ জানিয়েছে, কোনও সংস্থা এগিয়ে না এলে সরকার কি বসে থাকবে? এসটিপি তৈরির জমি না পাওয়ার বিষয়েও সরকারের যুক্তি নস্যাৎ করে আদালত বলেছে, জমি না পেলে কি প্ল্যান্ট তৈরি হবে না? সরকারি প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রতা, অর্থ খরচে বিলম্ব এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অসহায়তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে সমস্ত বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১ এপ্রিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর