ব্যুরো নিউজ, ১২ জানুয়ারি: GI ট্যাগ পেল লাল পিপড়ের চাটনি, কেমন খেতে এই চাটনি? হরেক দেশের হরেক রকম খাবার, দেশ বা অঞ্চল বিশেষে সেই খাবের ধরন ও স্বাদ বদলায়। আমাদের কাছে যা ডাল- ভাত, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। দেশ-স্থান পরিবর্তনে তা কোথাও বার্গার- পিজা, আবার কোথাও বা মোমো-থুপ্পা। শুক্রতেই দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুর উদ্বোধন সে যাই হোক, যেমন দেশে যেমন চল। তবে সম্প্রতি জিআই ট্য়াগ পেল লাল পিপড়ের চাটনি (Red Ant Chutney)। এরআগে অযোধ্যার হনুমানগঢ়হীর লাড্ডু, সুন্দরবনের মধু পেয়েছিল জিআই ট্যাগ। এবার দেশের আরও একটি খাবার জিআই ট্যাগ পেল। তবে এই খাবারের নাম শুনলে চমকে ওঠাই স্বাভাবিক। যার স্বাদ আর বাকি পাঁচটা খাবারের থেকে একটু ভিন্ন। জেলার আদিবাসীরা এই চাটনি খান।
বহু দশক ধরেই ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের আদিবাসীরা লাল পিপড়ে খান। প্রত্যন্ত জায়গা হওয়ায় ও আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে তাদের পুষ্টির অন্যতম উৎস হল এই পিপড়ে। আর এই পিপড়ে দিয়ে তৈরি অন্যতম জনপ্রিয় পদ হল লাল পিপড়ের চাটনি। গত ৪ জানুয়ারি ‘সিমলিপাল কাই চাটনি’-কে সরকারের তরফে জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ দেওয়া হয়।
এই জিআই ট্যাগ দেওয়া হয় কোনও জায়গার বিশেষত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালেই ময়ূরভঞ্জ কাই সোশ্যাইটি লিমিটেডের তরফে লাল পিপড়ের চাটনি বা সিমলিপাল কাই চাটনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের জঙ্গল জুড়ে পাওয়া যায় লাল পিপড়ে। গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা দিয়েই বাসা তৈরি করে এই পিপড়েরা। স্থানীয় ভাষায় এই পিপড়েকে ‘কাই পিমপুডি’ বলা হয়। আদা, রসুন এবং লঙ্কা দিয়ে মাখা এই সুস্বাদু চাটনি খেয়ে রীতিমতো আঙুল চাটেন ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার আদিবাসীরা।
ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার জনপ্রিয় খাবার এই লাল পিঁপড়ের তৈরি কাই চাটনি। মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকাতেই কাই চাটনি খাওয়ার চল রয়েছে। দেশের অন্য অংশের বাসিন্দারা নাক শিঁটকালেও ময়ূরভঞ্জের মানুষ চেটেপুটে খায় এই চাটনি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ফাইবার এবং ১৮ রকমের অ্যাসিড। জিভে জল আনা এই পিঁপড়ের চাটনি খেলে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। এমনটাই জানাচ্ছেন ময়ূরভঞ্জের আদিবাসীরা। ইভিএম নিউজ