শর্মিলা চন্দ্র, ১৮ জুন : রসুনে কিন্তু আছে প্রচুর গুণ। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী হতে পারে। যাকে বলে রসুন পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম। এসব উপাদান ইমিউনিটি বাড়াতে বেশ কার্যকর। নিয়মিত রসুন খেলে সর্দি ও ফ্লু দূরে থাকে।
বিকেলের টিফিনে বানিয়ে ফেলুন গরম গরম মাছের ডিমের বড়া
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়
কাঁচা রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে সহায়ক। এটি টোটাল কোলেস্টেরল ও এলডিএল কোলেস্টেরল (যাকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বলা হয়) কমাতে সাহায্য করে। এইচডিএল কোলেস্টেরল (যাকে ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বলা হয়) বাড়াতে সহায়ক।
এক কোয়া রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুণভাবে কাজ করে। কাঁচা রসুনের প্রধান রাসায়নিক উপাদান অ্যালিসিন, যা রক্তনালিগুলো শিথিল করতে ও রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে।
রসুনের সালফার যৌগ শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্যদূর করতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা সিসার মাত্রাও কমাতে পারে রসুন। এর ডিটক্সিফাইংয়ের প্রভাবে গ্লুটাথিয়নের উৎপাদন বাড়ে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা যকৃৎ থেকে বিষাক্ত বর্জ্য অপসারণ করতে সাহায্য করে।
রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান রয়েছে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন বিভিন্ন রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং অসুস্থতার মাত্রা কমিয়ে দেয়। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো খুবই কার্যকর।
কাঁচা রসুনের শুধু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলেই হবে না। কাঁচা রসুন খেতে গেলে কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে-
রসুন খাওয়ার আগে কেটে ১০ মিনিট রেখে দিন। এ সময় রসুনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অ্যালিসিন তৈরি হয়। এই উপাদানই স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
অনেকে কাঁচা রসুন খেতে পারেন না। তাঁরা এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। সালাডে মিশিয়ে খেতে পারেন। অন্য খাবারের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে। প্রথমে অল্প করে খেতে পারেন। অর্ধেক কোয়া দিয়ে শুরু করুন। এরপর এক কোয়া করে খান। এতে সমস্যা হবে না।