ব্যুরো নিউজ, ৮ আগস্ট:বামফ্রন্ট জমানার দ্বিতীয় এবং শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত হয়েছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১১ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার সকালেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য এই খবর জানিয়েছেন।
পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন দীববীর জুটি সেই ছবি ভাইরাল নেট দুনিয়ায়
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য:
উত্তপ্ত বাংলাদেশ।পেট্রাপোলে ডিজি দলজিতের পরিদর্শন
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গত বছর ৯ আগস্ট হাসপাতাল থেকে কিছুটা স্থিতিশীল হয়ে বাড়িতে ফেরেন তিনি।দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখেছিলেন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। ফুসফুস এবং শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। হাসপাতালের প্রথম কয়েকদিন প্রায় আচ্ছন্ন অবস্থাতেই ছিলেন বুদ্ধদেব। তবে পরবর্তীতে চিকিৎসায় সাড়া দেন। বাড়িতে ফিরে আসার পরেও চিকিৎসকদের বেশ কিছু নিয়ম-কানুন এর মধ্যে তাকে রাখা হয়েছিল। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে সিওপিডিতে ভুগছিলেন। আর সেই কারণে কার্যত একেবারে ঘরে বন্দি অবস্থাতেই ছিলেন।
আবাস যোজনায় তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা জবাব কেন্দ্রের
২০২২ সালের ২৫ শে জানুয়ারি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তার নাম মনোনীত করে। কিন্তু তিনি এই পদ্মভূষণ নিতে অস্বীকার করেন। বাংলায় বুদ্ধদেবের ১১ বছরের শাসনকালের শেষ পাঁচ বছর বাংলার রাজনীতি টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে। সিঙ্গুরের শিল্পায়ন নীতি, নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে বহু রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে গোটা বাংলা। ২০০৬ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ২৩৫ টি আসন জয়লাভ করে। পরবর্তীতেই পরের ভোটে ২০১১ সালে ৩৪ বছরের একটানা সিপিআইএমের নেতৃত্বে বাম শাসনের অবসান হয় এবং ক্ষমতায় আসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোক প্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ বিশিষ্ট রাজনীতিকরা ।