ব্যুরো নিউজ,২২ নভেম্বর:এবার এক নতুন ইতিহাস তৈরি হলো ভারতের গণতান্ত্রিক যাত্রায়। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের প্রাচীন জনগোষ্ঠী জারোয়াদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এটি তাদের জন্য প্রথম ভোটাধিকার প্রদান, যা ভারতের গণতন্ত্রে তাদের অংশগ্রহণের এক বড় ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে, ১৯ জন জারোয়া জনগোষ্ঠীভুক্ত সদস্যের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসন আশা করছে, আগামীতে আরও অনেক জারোয়া সদস্যকে ভোটাধিকার প্রদান করা সম্ভব হবে এবং তারা দেশের গণতন্ত্রে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
গৌতম আদানি এবং তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ঘুষ কাণ্ডে নতুন অভিযোগ, আমেরিকার আদালতে মামলা
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে উৎসাহী
দক্ষিণ আন্দামানের জিরকাটাং গ্রামে বসবাসকারী ১৯ জন জারোয়া সদস্য বৃহস্পতিবার ভোটাধিকার পেয়েছেন। তারা বুথস্তরের আধিকারিকের কাছে ফর্ম-৬ জমা দিয়েছেন এবং আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসনের মুখ্যসচিব কেশব চন্দ্র এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি নিজে জারোয়া গোষ্ঠীর একজন সদস্যের কাছ থেকে প্রথম ফর্মটি সংগ্রহ করেন। প্রশাসনের দাবি, এটি ভারতের গণতান্ত্রিক যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।ভারতের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ দীর্ঘদিনের। তবে, এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করার সময় তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জীবনধারা বজায় রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তাদের অন্তর্ভুক্তি ঘটানোর পাশাপাশি, তাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে কোনো আঘাত না লাগানোর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গৌতম আদানি এবং তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ঘুষ কাণ্ডে নতুন অভিযোগ, আমেরিকার আদালতে মামলা
এই ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া তদারকি করেছেন দক্ষিণ আন্দামানের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অর্জুন শর্মা। তিনি জারোয়া জনগণের স্বাতন্ত্র্য এবং ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে ভোটাধিকার প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।আন্দামান আদিম জনজাতি বিকাশ সমিতি ও জনজাতি উন্নয়ন দফতরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা জারোয়া জনগণের কাছে ভোট প্রক্রিয়া, গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং ভোট দেওয়া শেখানোর কাজ করেছে। মুখ্যসচিব কেশব চন্দ্র বলেন, ‘এটি আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি প্রমাণ করে যে সরকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে এবং তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে উৎসাহী।’