ব্যুরো নিউজ, ২ ডিসেম্বর : সম্প্রতি পোল্যান্ডের সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকাল ইউনিভার্সিটি অব লজের ২২ বছর বয়সী ২৫৮ জন ছাত্রছাত্রীর উপর পরীক্ষা চালানো হয়।যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে যে হাতের তর্জনী এবং অনামিকার মাপ বলে দিতে পারে কে কতটা মদ্যপায়ী। এমনকি মদ্যপানের পর কে বেশি বেসামাল হবে তাও নির্ধারণ করা যায় এই আঙুলের মাপ দেখে।তর্জনী (বুড়ো আঙুলের পাশের আঙুল) এবং অনামিকা (কড়ে আঙুলের পাশের আঙুল) — এই দুই আঙুলের দৈর্ঘ্যের অনুপাতই পুরো বিষয়টির কেন্দ্রবিন্দু।
শীতে মিষ্টি আলু খাওয়ার অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা
গবেষণায় পদ্ধতিতে মদ্যপানের প্রবণতা বিশ্লেষণ করা হয়
তর্জনীর দৈর্ঘ্য তুলনামূলক কম এবং অনামিকার দৈর্ঘ্য বেশি হলে এই অনুপাত কম হয়। গবেষণা বলছে, এমন ব্যক্তিরা মদ্যপানের ক্ষেত্রে বেশি আসক্ত হন এবং মদ খেয়ে সহজেই বেসামাল হয়ে পড়েন।তর্জনীর দৈর্ঘ্য বেশি এবং অনামিকার দৈর্ঘ্য কম হলে এই অনুপাত বেশি হয়। এ ধরনের ব্যক্তিরা কম মদ্যপায়ী হন এবং মদ খেয়ে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারেন।পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৬৯ জন নারী ও ৮৯ জন পুরুষ। প্রত্যেকের তর্জনী এবং অনামিকার দৈর্ঘ্য মাপা হয় এবং অডিট (অ্যালকোহল ইউজ ডিসঅর্ডারস আইডেন্টিফিকেশন টেস্ট) পদ্ধতিতে মদ্যপানের প্রবণতা বিশ্লেষণ করা হয়।গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে আঙুলের মাপের উপর ভিত্তি করেই একজনের মদ্যপায়ী হওয়ার সম্ভাবনা এবং মদ্যপানের পর বেসামাল হওয়ার প্রবণতা নির্ধারণ করা সম্ভব।জআঙুলের দৈর্ঘ্য গঠনে প্রাকজন্মকালে হরমোনের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষত টেস্টোস্টেরন এবং এস্ট্রোজেনের মতো হরমোন এই অনুপাতকে প্রভাবিত করে। গবেষকদের মতে, এগুলো একজনের মাদকাসক্তি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত।
কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভিঃ বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের পরিস্থিতি আরও খারাপ
এটি শুধু মদ্যপানের প্রবণতা নয়, একজনের ব্যক্তিত্ব এবং আচরণ বিশ্লেষণেও সাহায্য করতে পারে। তবে এটি মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান নয়। সঠিক অভ্যাস এবং সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমেই মদ্যপানের নেতিবাচক প্রভাব কমানো সম্ভব।শরীরের গঠন এবং আচরণের মধ্যে এই আকর্ষণীয় সম্পর্ক গবেষণায় নতুন দিশা খুলে দিয়েছে। আঙুলের মাপের সঙ্গে জীবনের আরও কোন কোন দিক জড়িয়ে আছে, তা জানতে গবেষণার বিস্তৃতি প্রয়োজন।