বেতন দেওয়া হচ্ছে চাঁদা তুলে

ব্যুরো নিউজ, ৬ ডিসেম্বর : বছরের শেষ এসে বিভিন্ন স্কুলে কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা না আসায় আর্থিক সংকটে পড়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনেক স্কুলে আংশিক সময়ের শিক্ষক রাখার জন্য শিক্ষকরাই নিজেদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বেতন দিচ্ছেন। কোথাও আবার স্কুলের প্রাক্তনীরা চাঁদা তুলে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন আবার কোথাও স্কুলের পুকুর জমির ফসল বিক্রি করে এই সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।

কোন রাশির জাতকদের জন্য আজকের শুক্রবার দিনটি শুভ, কোন জাতকদের জন্য সতর্কতা?

ফান্ড না থাকায় শিক্ষিকদের বেতন নিয়ে চিন্তা

বেহালার সরশুনা চিলড্রেন্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা  জানালেন তাদের স্কুলে অর্থনীতি, পুষ্টিবিজ্ঞান এবং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ক আংশিক সময়ের শিক্ষক রাখতে হয়েছে। কম্পোজ়িট ফান্ড থেকে আংশিক সময়ের শিক্ষকেদের বেতন দেওয়া সম্ভব নয় তাই তারা উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা তুলে এ কাজ করছেন। যদিও বর্তমানে উন্নয়ন তহবিলও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তাই শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে টাকা সংগ্রহ করছেন। শর্বরী জানান পুজোর আগে শিক্ষকরা ছ’-সাত হাজার টাকা চাঁদা তুলে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের বেতন দিয়েছেন এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরের বেতনও একইভাবে দেওয়া হয়েছে।ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানান তাদের স্কুলে একাদশ শ্রেণির বাণিজ্য শাখার কিছু বিষয়ের শিক্ষক ও রসায়ন বিভাগের কিছু বিষয়ের শিক্ষক নেই। তাই আংশিক সময়ের শিক্ষকদের দিয়ে এই শূন্যপদ পূর্ণ করতে হচ্ছে। স্কুলের প্রাক্তনীরা অর্থ সাহায্য করে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন।উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ চাতরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন তাদের স্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন স্কুলের পুকুরের মাছ, জমির ধান, এবং বাগানের ফল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

‘পুষ্পা: দ্য রাইজ়’ সুপারহিট ছবিতে পুষ্পারাজের মাধ্যমে রক্তচন্দন কাঠ পাচারের কাহিনি , রক্তচন্দন কেন এত দামি?

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নগেন্দ্রপুর হেমন্তকুমারী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান তাদের স্কুলে ১২ জন আংশিক সময়ের শিক্ষক রয়েছেন কিন্তু ফান্ড না থাকায় তারা তাদের বেতন কিভাবে দেবেন তা নিয়ে চিন্তায় আছেন। অনেক স্কুলে অভিভাবকেরাও আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য কিছু অর্থ সহায়তা করছেন।সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে সরকারি আর্থিক সহায়তা না পেলে অনেক স্কুলের জন্য আংশিক সময়ের শিক্ষক রাখা এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং স্কুলগুলিকে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় বেতন দিতে হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর