ব্যুরো নিউজ,১৬ আগস্ট: সিবিআই অফিসাররা ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা মৃতা তরুণী চিকিৎসকের বাড়িতে ঘুরে এসেছেন। সূত্রের খবর, ওই তরুণী চিকিৎসকের ডায়েরি এবং বই দেখেছেন তারা। মৃতা চিকিৎসকের বাবা-মা আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাদের মেয়ে ভালো ছিলেন না। কোনো অশান্তির মধ্যে ছিলেন বলেই তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আর এর মধ্যেই ওই মৃতা তরুণী চিকিৎসকের জীবনের একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ডায়েরিতে লিখে যাওয়া শব্দগুলো এবার সামনে উঠে এসেছে।
SUCI Movement: বনধ সফলে ময়দানে এসইউসিআই,দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে লড়াই
মৃতা তরুণী চিকিৎসক কি লিখেছিলেন ডায়েরীতে?
মৃতা তরুণী চিকিৎসক ডাক্তারির এমডি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করতে চান বলে জানান। গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চান। নাইট শিফটে ডিউটিতে যাওয়ার আগে সেই একরাশ স্বপ্ন নিজের ডায়েরিতে লিখেছিলেন বলে ওই চিকিৎসকের বাবা জানালেন। কিন্তু সেই নাইট শিফট যে তার জীবনের অন্তিম ডিউটি হবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ঐ মৃতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, মেয়ে মেধাবী ছিলেন। দিনে ১০-১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন মেয়ে।
কিন্তু ওই অভিশপ্ত রাতেই সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ডায়েরিতে নাইট শিফটে ডিউটিতে যাওয়ার আগে একরাশ স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা সফল হলো না। ওই প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেছেন, আমার মেয়েকে আমি ফিরে পাবো না। কিন্তু আশাবাদী হতে পারি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে সমর্থন হচ্ছে, তা ন্যায় বিচারের জন্য লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচুর সাহস যোগাচ্ছে। ওই তরুণী চিকিৎসক ডাক্তার হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার জন্য প্রচুর কঠোর পরিশ্রম করতেন। তরুনীর বাবার কথায়, তারা অভিভাবক হিসেবেও অনেক আত্মত্যাগ করেছিলেন বলেই জানিয়েছেন।