ব্যুরো নিউজ, ২৮ সেপ্টেম্বর :কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম সার্ভিস সম্প্রতি থামানোর ঘোষণার পর, শহরের মানুষদের মনে এক গভীর নস্টালজিয়া তৈরি হয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’ সিনেমায় ট্রামের মাধ্যমে শহরের নাগরিক জীবনের নাটকীয়তা ফুটিয়ে তোলা হয়। ট্রাম কেবল একটি পরিবহন মাধ্যমই নয়, বরং এটি কবিদের ও সাহিত্যিকদের শিল্পকর্মে বারবার উঠে এসেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় ট্রামের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা শহরের চিরায়ত রূপের সাথে জড়িয়ে রয়েছে।
সল্টলেকের: বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের রহস্যময় মৃত্যু
কলকাতার আর চলবে না ট্রামের চাকা
কলকাতার ট্রাম ১৮৭৩ সালে প্রথম চালু হয়, কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তা ১৮৮০ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১৯০২ সালে বৈদ্যুতিক ট্রাম চালু হয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম। দীর্ঘ সময় ধরে এটি সাধারণ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে, কিন্তু সম্প্রতি আধুনিকীকরণের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আপনি কি মোবাইল ফোনের প্যান্টের পকেটে রাখেন? তা হলে এখুনি সাবধান
বিভিন্ন গবেষকরা জানিয়েছেন, কলকাতা ট্রাম ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত, কারণ এটি শহরের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি অঙ্গ। কিন্তু রাজ্য সরকারের উদ্যোগের অভাবে ট্রামকে সংরক্ষণ করা হয়নি। আজ বিশ্ব জুড়ে ট্রাম পরিষেবা আবার ফিরতে শুরু করেছে। ফ্রান্স, স্পেন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে ট্রাম পুনরায় চালু হচ্ছে, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে।
রিলিজ হতে চলেছে দেবের নতুন সিনেমা ‘টেক্কা’
সুতরাং, কলকাতার ট্রামের অবস্থা নিয়ে চিন্তা করা খুবই জরুরি। কি জানি, আগামী দিনে কলকাতার মানুষের প্রিয় ট্রাম আবার ফিরতে পারে নতুন রূপে, যেখানে নস্টালজিয়া এবং আধুনিকতা একসাথে জড়িয়ে থাকবে। ট্রাম বিদায় নিচ্ছে, কিন্তু শহরের হৃদয়ে তার স্মৃতি চিরকাল অমলিন থাকবে।