ব্যুরো নিউজ ,১৯ ডিসেম্বর:গত কয়েক সপ্তাহে বিমানবন্দর, বিমান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একের পর এক ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে নাজেহাল হতে হয়েছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এই প্রেক্ষাপটে এবার কঠোর অবস্থান নিল কেন্দ্রীয় সরকার।অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সম্প্রতি বিমান (নিরাপত্তা) বিধিমালা, ২০২৩-এ নতুন ধারা যুক্ত করেছে। গত ১৬ ডিসেম্বর গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ৩০এ এবং ২৯এ ধারাগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর দোষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
মুম্বাই উপকূলে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের সাথে যাত্রীবাহী ফেরির ধাক্কা ,কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
কী বলছে ৩০এ ধারা?
৩০এ ধারায় বলা হয়েছে, যেকোনও মিথ্যা দাবি বা হুমকি, যা বিমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে, সেটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই ধরনের ঘটনায় যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়। দোষ প্রমাণিত হলে দোষীদের সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।নতুন ২৯এ ধারার মাধ্যমে ডিরেক্টর জেনারেলকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তিনি যেকোনও ব্যক্তি বা দলকে বিমানে উঠতে বাধা দিতে পারেন বা বিমান থেকে নামতে বাধ্য করতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত লিখিত নির্দেশিকার মাধ্যমে কার্যকর হবে।ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর দোষে অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে ঘটনায় যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে। এটি ১ লক্ষ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
পাকিস্তানের পরমাণু শক্তি নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাঃ বাংলাদেশের জন্য কী বার্তা?
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শুরু থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৯৯টি ভুয়ো বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসেই ঘটেছে ৬৬৬টি ঘটনা। তবে, এত সংখ্যক ঘটনার মধ্যে মাত্র দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে একজন হলেন মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়ার বাসিন্দা ৩৫ বছরের জগদীশ শ্রীরাম উইকে, এবং অন্যজন ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁওয়ের ১৭ বছরের এক কিশোর।কেন্দ্রীয় সরকারের এই কঠোর ব্যবস্থা ভুয়ো বোমাতঙ্ক রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।