ব্যুরো নিউজ, ২১ জুলাই: একুশের মঞ্চে বিজেপির দুই সাংসদ যোগ দিতে পারেন, এরকম একটা বার্তা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল যে নামটি, তিনি হলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার নামটি চর্চায় ছড়িয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে যা জানা গিয়েছে, তিনি নির্বাচনে জয়লাভের পরেই সাংসদ হয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কিছু কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি বিষ্ণুপুর থেকে তাকে মানুষ এবার ভোট দিয়ে সাংসদ করে পাঠিয়েছে মন্ত্রী করার জন্য, এরকম দাবিও জানান সৌমিত্র।
হঠাৎ কী ঘটলো?একুশে জুলাইয়ের আগেই দল ছাড়লেন তৃণমূল নেতা
তৃণমূলে যোগদান নিয়ে কি জানালেন সৌমিত্র?
ফলে একুশে জুলাই এর মঞ্চে তার নাম ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ার যে কৌশল সেটা তৈরি করা গিয়েছিল। কিন্তু তার উত্তর খোদ নিজেই দিয়েছেন সৌমিত্র। একুশে জুলাই এর আগের রাতে ফেসবুক লাইভে সৌমিত্র জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলে তার যোগদান নিয়ে বিভ্রান্ত করে প্রচার চালানো হচ্ছে। এরকম কোনো বিষয় নেই। বিজেপিতে আছি, বিজেপিতেই থাকবো। দলের অন্দরে যা বলার সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কিছুদিন ধরেই এই ধরনের একটা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আরো বিশেষ করে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে সৌমিত্র খাঁ জানিয়ে দিলেন, একুশে জুলাই এর আগের রাতে ফেসবুক লাইভে, তিনি তৃণমূলে যোগদান করছেন না, বিজেপিতেই থাকছেন।
কার্গিলের ছায়া কাশ্মীরে?স্পেশ্যাল কম্যান্ডো ফোর্স ঘিরে ফেলেছে উপত্যকা
পরপর তিনবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। এর আগে তৃণমূলে থাকাকালীন সৌমিত্র যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দলীয় দায়িত্ব সামলেছেন। তারপরে ২০১৩ সালে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকেই তিনি পরপর ৩ বার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ নির্বাচনের পরে বঙ্গ বিজেপির আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে তিনি রাজ্য নেতৃত্বের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা বিষয়ে মত পোষণ করেন। তার পাশাপাশি স্থানীয় এক প্রবীণ তৃণমূল নেতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। সৌমিত্র সেই বিষয়টি সৌজন্য প্রণাম বলেই জানিয়েছেন। আর এগুলিকে এক সূত্রে গেঁথে তৃণমূল শুরু করে দিয়েছিল প্রচার। এ কথা ঠিক বিজেপির মধ্যে লড়াকু যতগুলি নেতা রয়েছেন, তার মধ্যে সৌমিত্র খাঁ অন্যতম। এর আগেও তাকে যথেষ্ট প্রতিবাদী ভূমিকায় রাজ্যের শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের সমস্ত ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারে একেবারে জল ঢেলে দিলেন সৌমিত্র খাঁ।