ব্যুরো নিউজ,২৭ নভেম্বর:কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এক সপ্তাহ আগে নিম্ন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি, তবে সেখান থেকে বিশেষ সাড়া পাননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে তার জামিনের আবেদন জমা দিয়েছেন। আরজি কর হাসপাতাল থেকে তথ্য ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া এই প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ।সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, টালা থানার সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হওয়ার পর তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। এই হার্ড ডিস্কের মাধ্যমে মামলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করে বলছে, জামিন হলে তাদের তদন্তে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।
চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারিতে বাংলাদেশ-ভারত উত্তেজনা, হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ
তদন্তের দায়িত্ব
আবেদনকারীর আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে বলেন, ‘আমরা এখানে শুধুমাত্র ন্যায় চাইতে এসেছি। এটা কোনো মুঘল রাজত্ব নয়, যেখানে বাদশার নির্দেশেই সব কিছু হবে। গ্রেফতারির প্রথম দিন সিবিআই জানিয়েছিল, খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়নি। মূলত তথ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ৭৩ দিন পরও কোনো চার্জশিট জমা হয়নি। জামিন না দেওয়ার কোনো কারণ নেই।’ ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার হয়, যার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় প্রতিবাদে সারা দেশে আন্দোলন শুরু হয় এবং কলকাতা পুলিশ দ্রুত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয়।
ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণার পর নেতানিয়াহুর সতর্কবার্তা
সিবিআই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে, কারণ তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ছিল। অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য সরকার তাকে সাসপেন্ড করে। সরকারি চাকরিজীবীকে গ্রেফতার হলে ৪৮ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে থাকলে তাকে সাসপেন্ড করার নিয়ম রয়েছে।টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি আগামী কয়েক দিনে হাইকোর্টে হতে পারে। তার জামিন মঞ্জুর হলে সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়বে এবং তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠতে পারে।