ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর:পৌরাণিক কাহিনিতে সূর্যপুত্র শনিদেবকে ঘিরে রহস্য ও বিতর্কের অন্ত নেই। জন্মলগ্ন থেকেই তিনি ন্যায়পরায়ণ হলেও তার দৃষ্টি সর্বদা ভয়ের কারণ। শনির দৃষ্টি মানেই কৃতকর্মের কঠিন শাস্তি। তাই জীবনে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এবং শনির ক্রোধ থেকে রক্ষা পেতে বহু ভক্ত নিয়ম করে শনিবার শনিদেবের পুজো করেন। তবে জানেন কি, শনিদেবের দৃষ্টি এড়ানোর আরও কিছু পদ্ধতি রয়েছে? মহাদেব, হনুমান এবং পিপল মুনির পুজো শনির ক্রোধ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আজকের দিনে আপনার জন্মদিন হলে জেনে নিন নিজের সম্পর্কে কিছু কথা
মহাদেবের পুজোর মাহাত্ম্য
পুরাণ মতে কোনও এক ঘটনায় মহাদেবের অনুচরদের হেনস্তা করেন শনিদেব। এ কথা জানার পর শিব ত্রিশূল হাতে শনিদেবের সামনে হাজির হন এবং দুজনের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হয়। শিবের তৃতীয় নয়নের প্রখর তেজের সামনে শনিদেব নিজের পরাজয় স্বীকার করেন। এরপর শনি প্রতিজ্ঞা করেন, তিনি কোনও শিবভক্তকে দৃষ্টিপাত করবেন না। তাই শনির দৃষ্টি থেকে বাঁচতে মহাদেবের আরাধনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
শীতকালে গাঁটের ব্যথা কেন বাড়ে এবং তা কীভাবে তা কমানো যায় জেনে নিন
হনুমান পুজোর গুরুত্ব
হনুমান স্বয়ং সূর্যদেবের শিষ্য। একবার সূর্যদেব তাকে নির্দেশ দেন, শনির অহংকার ভেঙে দিতে। হনুমান শনিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, অহংকার ধ্বংসের কারণ। কিন্তু শনিদেব তা মানতে অস্বীকার করেন। এরপর হনুমান নিজের শক্তি প্রদর্শন করলে শনিদেব তার ভুল বুঝতে পারেন এবং হনুমানের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন, তার ভক্তদের কোনও ক্ষতি করবেন না। তাই হনুমানের পুজো করেও শনির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই করুন বীরভদ্রাসন
পিপল মুনির স্তবের শক্তি
পুরাণ মতে, পিপল মুনি ছোটবেলায় শনির কারণে তার বাবা-মাকে হারান। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিনি কঠোর তপস্যার মাধ্যমে ব্রহ্মার থেকে বর লাভ করেন। সেই থেকেই শনিদেব পিপল মুনিকে সমীহ করেন। কথিত আছে, যাঁরা পিপল মুনির স্তব পাঠ করেন তারা শনির দৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্তি পান।জীবনে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে এবং শনির কঠিন প্রভাব এড়াতে শনিদেবের পুজোর পাশাপাশি মহাদেব, হনুমান এবং পিপল মুনির আরাধনা অত্যন্ত কার্যকরী।