ব্যুরো নিউজ, ৬ ডিসেম্বর : ২০২১ সালের সুপারহিট ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ়’ এর পর সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার দ্বিতীয় পর্ব ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’, যেখানে প্রধান চরিত্রপুষ্পারাজের মাধ্যমে রক্তচন্দন কাঠ পাচারের কাহিনি আরও একবার তুলে ধরা হয়েছে। এই কাঠ বা গাছের বিপুল চাহিদা, ব্যবসা এবং পাচারের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ যা বাস্তবে রক্তচন্দনকে ‘লাল সোনা’ হিসাবে পরিচিত করেছে।
নন-কগনিজেবল অপরাধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট
প্রাকৃতিকভাবে আগুন রোধ করতে সক্ষম এই কাঠ
রক্তচন্দন একটি বিরল প্রজাতির গাছ যা ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু অংশে প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়। বিশেষ করে পূর্বঘাট পর্বতের অঞ্চলে এই গাছ ভালো হয়। রক্তচন্দন কাঠের চাহিদা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক কারণ এটি শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় না, বরং বিভিন্ন শিল্প, পূজা-আর্চা এবং প্রসাধনী তৈরিতেও এর ব্যবহার প্রচলিত। এর নির্যাসও নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।এই কাঠের গুণাবলীর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য অত্যন্ত বেশি। রক্তচন্দন কাঠ এমন এক ধরণের কাঠ যা সহজে পোড়ানো যায় না, এবং প্রাকৃতিকভাবে আগুন রোধ করতে সক্ষম। তবে এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর বিরলতা। বিশ্বের অন্যান্য অংশে এই গাছ পাওয়া যায় না, ফলে এর চাহিদা কল্পনাতীতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কাঠের এক কেজি দাম তিন হাজার টাকারও বেশি।বর্তমানে ভারতে রক্তচন্দন কাঠ কাটাও নিষিদ্ধ, কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই কাঠ পাচারের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং অস্ট্রেলিয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা চীনেই। সেখানে আসবাবপত্র বাদ্যযন্ত্র এবং অন্যান্য শিল্পে এই কাঠ ব্যবহার করা হয়।
ভারত বনাম বাংলাদেশঃ সামরিক শক্তিতে আকাশ-পাতাল তফাত
বিশ্বব্যাপী রক্তচন্দনের বিপুল চাহিদার কারণে, এটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সঙ্ঘ (আইইউসিএন) এই গাছকে ‘প্রায় বিলুপ্ত’ শ্রেণিতে তালিকাভুক্ত করেছে। এজন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রক্তচন্দন পাচার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং ‘রেড স্যান্ডলার্স অ্যান্টি-স্মাগলিং টাস্ক ফোর্স’ গঠন করা হয়েছে।