ব্যুরো নিউজ,৫ আগস্ট: রাতেই হঠাৎ খুব তৎপরতার সঙ্গে তড়িঘড়ি বসলো কলকাতা হাইকোর্ট। রাতের বেলায় তাড়াহুড়ো করে কলকাতা হাইকোর্টের বসার মূল কারণ একটি বিদেশি জাহাজকে আটকানো। কারণ অভিযোগকারীর বক্তব্য, ভারত ছেড়ে পানামার উদ্দেশ্যে এই জাহাজটি চলে যাচ্ছে। ওই জাহাজ না আটকালে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য সরবরাহ করে চলে যাচ্ছে জাহাজটি। মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই রাত ন’টা নাগাদ দ্রুত শুনানির জন্য আদালত বসান বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?
মমতার নির্দেশে পদত্যাগ অখিলের, বন দপ্তরের কোন দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা?
মামলাকারী পেপার সংস্থার দাবি, ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই জাহাজটি ২৫ শে জুলাই হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে আসে। জাহাজে ৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ছিল। কিন্তু তার মধ্যে ১৩১২ মেট্রিক টন পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত। যার ভারতীয় বাজারে দাম ৭ কোটি ৪৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৮০ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজে থাকা পণ্য নষ্ট হয়ে গেলে জাহাজ কর্তৃপক্ষের দায় থাকবে। ৫ আগস্ট সকাল ৭টাতেই হলদিয়া ছেড়ে পানামার উদ্দেশ্যে জাহাজটির রওনা দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই পেপার সংস্থার দায়ের করা মামলায় রাতের বেলায় কলকাতা হাইকোর্টে রবিবার ছুটির দিনেও রাত নটা নাগাদ বিচারপতি শুনানি করেন। আর সেখানেই হাইকোর্ট ৮ আগস্ট পর্যন্ত হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে জাহাজ থাকবে বলে জানিয়ে দেন। আর যদি ৮ আগস্ট এর মধ্যে জাহাজ কর্তৃপক্ষ জাহাজ নিয়ে যেতে চান, তাহলে হাইকোর্টকে ৭ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
বাজেটে বাড়েনি ট্যাক্স,তবুও ভান্ডার ভরতে মদেই ভরসা রাজ্যের, বাড়তে চলেছে দাম
মামলাকারী পেপার সংস্থার দায়ের করা মামলায় ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিচারপতি হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে জাহাজ আটকে রাখার নির্দেশ দেন। সেখানে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স, কাস্টমস এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকে ওই মামলার অর্ডার কপি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পেপার সংস্থা দাবি করেছে, জাহাজ কর্তৃপক্ষকে এই মামলার খরচও মেটাতে হবে। তবে জাহাজ কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের কাছে ৭ কোটি টাকা জমা দিয়ে জাহাজ নিয়ে যেতে পারেন। আগামী ১২ ই আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।