ব্যুরো নিউজ, ২ ডিসেম্বর : বাবা-মায়ের জন্য সন্তানের লালন-পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তবে কখনও কখনও কিছু ভুল অভ্যাস তাদের সন্তানের মনে খারাপ প্রভাব ফেলে। যা ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরাতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা বজায় রাখতে কিছু অভ্যাস পরিত্যাগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাসগুলির মাধ্যমে আপনি সন্তানের মধ্যে সম্মান এবং ভালবাসা তৈরি করতে পারেন।
রাত জাগার অভ্যাস ভেঙে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর সহজ টিপস
কি কি অভ্যাস তৈরি করতে হবে জেনে নিন
১. সব সময় জ্ঞানের কথা না বলা
অনেক বাবা-মায়েরই অভ্যাস থাকে প্রতিটি বিষয়ে সন্তানের উপরে বক্তৃতা দেওয়ার, যা অনেক সময় তাদের পক্ষে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তারা কখনই সন্তানের কথা শোনার চেষ্টা করেন না এবং শিশুদের চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেন না। এর ফলে, শিশুরা ধীরে ধীরে তাদের বাবা-মায়ের থেকে দূরে চলে যায়। সুতরাং, সব সময় জ্ঞানের কথা না বলে, তাদের অনুভূতি ও চিন্তাধারা শোনা জরুরি।
২. নিজের ভুল স্বীকার করা
বাবা-মায়েরও ভুল হতে পারে। যদি আপনি কখনও আপনার ভুলটি সন্তানের কাছে স্বীকার না করেন, তাহলে তারা আপনার প্রতি শ্রদ্ধা হারাতে পারে। কিন্তু যখন আপনি আপনার ভুল স্বীকার করবেন, তখন শিশুরা আপনাকে আরও শ্রদ্ধা করবে এবং আপনাদের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
৩. অন্যদের সাথে তুলনা না করা
অভিভাবকত্বে একটি বড় নিয়ম হল, কখনও সন্তানদের অন্যদের সাথে তুলনা না করা। প্রতিটি শিশু আলাদা, এবং তাদের নিজস্ব গুণাবলী রয়েছে। অন্যদের সাথে তুলনা করলে, শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং তারা বাবা-মায়ের প্রতি নেতিবাচক ভাবনা শুরু করে। সুতরাং, তাদের নিজেদের গুণাবলী এবং শক্তি দেখে তাদের উৎসাহিত করুন।
মিড-ডে মিলে ডিমের বরাদ্দঃ একটা গোটা ডিম কি পড়ুয়াদের পাতে পড়বে?
৪. নিয়ম ভঙ্গ না করা
সন্তানের জন্য নিয়ম তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেই নিয়মগুলো নিজেদের মধ্যে অটুট রাখতে হবে। যদি আপনি নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে সন্তানের কাছে আপনার কথা সঠিক মনে হবে না। নিয়ম ভঙ্গ না করে, নিজের আচরণে সঠিক উদাহরণ স্থাপন করুন, যাতে তারা নিয়ম পালন করতে আগ্রহী হয়।
৫. যা বলবেন, তা নিজে করুন
আপনি যদি আপনার সন্তানের কাছে ভাল অভ্যাস শেখান, তবে নিজেও সেই অভ্যাসগুলো পালন করুন। শিশুরা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে শেখে, সুতরাং আপনি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং ব্যায়াম করেন, তখন তারা সেটি শিখবে এবং তাদের জীবনেও তা প্রতিফলিত হবে। আপনি যদি সম্মান চান, তবে সেটা শুধু বলা নয়, নিজেও তা প্রদর্শন করতে হবে।