east bengal photo

ব্যুরো নিউজ,১ আগস্ট:ফুটবলের বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করলেন প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায় ও অলক মুখার্জিকে। সেই সঙ্গে অন্যতম সকল স্ট্রাইকার রঞ্জিত মুখার্জিকেও একই সম্মান দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেই সম্মান দেওয়ার অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল সচিব দেবব্রত সরকার জানিয়ে দিয়েছেন কোন মূল্যেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে বিক্রি হতে দেবেন না।

দেশজুড়ে ব‍্যাঙ্কিং সিস্টেম টালমাটাল!সাইবার হানায় টাকা লেনদেন প্রায় বন্ধ

আর এই সম্মানই মিলিয়ে দিল উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এক্কেবারে দক্ষিণ কলকাতাকে। উত্তর ২৪ পরগনার খরদহে ছেলে রঞ্জিত মুখার্জি প্রথমবার ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন।১৯৭৬ সালে দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের ছেলে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় সই করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাটা নগরে ছেলে কৃষ্ণেন্দু রায় সই করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। সে সময় ভারতীয় দলে ছিল তারকা সমাবেশ। প্রশান্ত ছিল সেই সময়কার ভারতীয় দলের সর্বকালের সেরা মিডফিল্ডার। তারা সকলেই পুরস্কার নিতে গিয়ে আবেগে ভেসে গিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে মোহনবাগান পাঁচ গোলে হারে ইস্টবেঙ্গলের কাছে সেই ম্যাচে একটি গোল করেছিলেন রঞ্জিত মুখার্জি। আর তারই পাস থেকে দুটি গোল হয়। ফলে ইস্টবেঙ্গল এর জার্সি গায়ে দারুন আবেগে আপ্লুত তারা। তবে মোহনবাগান পরের বছরই ৮ গোল ১৭ সেকেন্ডে গোল খেয়ে এক গোলেই হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল।জীবনের সেরা সময় তারা খেলেছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে দিয়েছেন সব ট্রফি তবে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গলে জীবন কাটাননি অলক, প্রশান্ত, কৃষ্ণেন্দুর। তারা তিনজনেই পরে মোহনবাগান দলে সই করেছিলেন। সে সময় মোহনবাগান অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে ওঠে।

জীবন যুদ্ধে হার, প্রয়াত ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়

প্রশান্তর সাথে হাফে অসাধারণ খেলেছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।পিকের অনুজ প্রশান্ত অর্জুন পুরস্কারও পেয়েছিলেন ফুটবলে তারপরে স্টেট ব্যাংকের চাকরি শেষে রাজনীতিতে তৃণমূল সাংসদ হিসেবে টানা প্রায় চারবার জিতেছেন। ফলে বর্ণময় জীবনে নানাভাবে এই ফুটবলাররা উপভোগ করলেও ইস্টবেঙ্গলের সোনার দিনে তাদের অবদান আজও গর্বিত করে। সেই সঙ্গে দেখেছেন ভারতে আসা বিদেশ থেকে আসা অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার মজিদ বাসকারকে। মজিদ ছিলেন শিল্পী। তার সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে গোল করতেন জামশেদ নাসিরী। জামশেদ ইরানে ফিরে যাননি। এই ভাবে রয়ে গেছেন তবে নেশার কবলে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইরানে ফিরে যেতে হয় মসজিদকে। মজিদ অবশ্যই লাল হলুদ জার্সিতে খেলে যে আনন্দ পেয়েছিলেন তা ভুলতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত ইরান থেকে ডাক পেয়ে  ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। রঞ্জিত মুখার্জি ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে খেলেন। ১৯৭৯ সালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মন কষাকষিতে ক্লাব ছেড়ে যান।

প্যারিস অলিম্পিক্স ভারতকে প্রথম ব্রোঞ্জ মনুর হাত ধরে

ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বছর খেলেই দাগ কেটেছিলেন প্রশান্ত চাকরি পেয়েছিলেন এফসিআইতে। এরপরে যোগ দেন স্টেট ব্যাংকে। এরপর সেখান থেকেই অবসর নেন। সবাই জানিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান অবিসংবাদিকতা দেবব্রত ওরফে নিতু সরকার এখনো তাদের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করেন। ফুটবলের সেই রীতি আর নেই।ফুটবল ক্লাবগুলিকে বিদেশি ফুটবলার নিতে হচ্ছে এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে একগুচ্ছ তারকা বিদেশি ফুটবলার সই করেছেন তাই এবার প্রশান্ত ,কৃষ্ণেন্দু্‌,রঞ্জিত অলোকরা চাইছেন ইস্টবেঙ্গল আইএসএস জিতুক। যেভাবেই হোক এই সম্মানটা ক্লাবের পাওয়া উচিত। সেই আর্জি নিতুর কাছে রেখেছে খেলোয়াড়রা।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর