ব্যুরো নিউজ,২০ জানুয়ারি :রবিবার রাতে, ওয়াশিংটনের ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে একটি শক্তিশালী ভাষণ দেন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ সমাবেশে ট্রাম্প ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা করা দেড় হাজার সমর্থককে ক্ষমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি এই সময় বলেন, ‘আমি তাদের ক্ষমা করে দেব।’ এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি একদিকে যেমন তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রশংসা জানান, তেমনি একই সঙ্গে তাঁর আগের প্রশাসনের সিদ্ধান্তগুলোও তুলে ধরেন।
সইফ আলি খানের আগে তার বোন সোহার বাড়িতেও ডাকাতি! ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেত্রী
আর কি কি বললেন তিনি?
ট্রাম্প শুধু এই না, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘আমি ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করে দেব।’ তিনি আরও জানান, ‘সোমবার সূর্যাস্তের আগেই আমাদের দেশে আগ্রাসন বন্ধ হয়ে যাবে’। ট্রাম্প তাঁর ভাষণে দাবি করেন, তিনি ‘মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা’ বন্ধ করবেন এবং সেখানকার শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির পথে প্রথম পদক্ষেপ। বাইডেন প্রশাসনকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন বলেছেন তারা চুক্তি করেছে, কিন্তু প্রথমত, আমি প্রেসিডেন্ট হলে এটি কখনও ঘটত না।’এদিকে, ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় সংকটের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কতটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাছাকাছি, তা কেউ জানে না, তবে আমি নিশ্চিতভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থামাব।’ এই প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, সিনেটর রবার্ট কেনেডি এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ডের গোপন নথি প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে, এসব প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনার পাশাপাশি, ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেছেন যে, প্রথম দিনেই তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা, জ্বালানি, আমেরিকান পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস এবং ফেডারেল সরকারের কার্যক্রমের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রায় ২০০টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। তিনি আরও জানিয়ে দেন, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেবেন এবং এফবিআই, আইসিই, সিইএ সহ বিভিন্ন এজেন্সির কর্মকর্তাদের নিয়ে অপরাধী কার্টেল নির্মূল করার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করবেন।ট্রাম্পের এই প্রতিশ্রুতিগুলি তাঁর দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের সময় থেকে কার্যকরী হবে, এবং তার প্রশাসন আরও শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল হবে বলে মনে করছেন অনেকে।