ব্যুরো নিউজ, ৩১ অক্টোবর :দীপাবলিতে প্রতিটি ঘরেই আলোয় ভরে ওঠেছে । এই উৎসবের জন্য দিন কয়েক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। দীপাবলি, যা সাধারণত কার্তিক অমাবস্যায় পালিত হয়। এক ঐতিহ্যবাহী উৎসব যাকে রামের অযোধ্যা প্রত্যাবর্তনের স্মরণ হিসেবে মনে করা হয়। তবে শুধু আনন্দ নয় এই দিনে কিছু বিশেষ ধর্মীয় রীতি ও আচার-অনুষ্ঠানেরও বিশেষ গুরুত্ব আছে। বিশেষত দীপাবলির দিন গো-পূজা ও তেল স্নানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।
সিউড়ির ৫০০ বছরের ঐতিহ্য: ১৩ ফুট উচ্চতার বামা কালীকে রং করা হয় কাঠ পুড়িয়ে
গ্রহদোষ কাটাতে মানুন এই সহজ উপায়গুলি
শাস্ত্র মতে, দীপাবলির দিনে তেল স্নান করা অত্যন্ত শুভ, যা শরীরের পাশাপাশি মন এবং গ্রহদোষ কাটাতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। প্রতিটি গ্রহের অশুভ প্রভাব কাটাতে জলে কিছু নির্দিষ্ট উপাদান যোগ করা প্রথাগতভাবে মানা হয়।
কালীপূজোর দিনটি রাশি অনুযায়ী কেমন কাটবে আপনার? জানুন জ্যোতিষশাস্ত্রমতে
যদি রাশিতে সূর্যের প্রতিকূল প্রভাব থাকে তবে স্নানের জলে কুমকুম, এলাচ, দেবদারু, লাল ফুল এবং আঙুরের রস মিশিয়ে স্নান করা উচিত। এতে সূর্যের নেতিবাচক প্রভাব কমে তা জীবনে শুভ ফল দেয়। কুণ্ডলীতে মঙ্গল গ্রহের অবস্থান খারাপ হলে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে সমস্যা হতে পারে। তাই মঙ্গল দোষ কাটাতে স্নানের জলে লাল চন্দন ও গুড় মিশিয়ে স্নান করলে উপকার মেলে। বুধ গ্রহ দুর্বল হলে ব্যবসায় বাধা, বাকশক্তি ও বুদ্ধিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জন্য চাল ও জায়ফল জলে মিশিয়ে স্নান করলে বুধের প্রভাব উন্নত হয়।
কালীপূজোয় মহাকালীর আশীর্বাদ পেতে এই কাজগুলি করুন! মিলবে প্রচুর ধনসম্পদ
শুক্র গ্রহকে সম্পদ ও সুখের প্রতীক মনে করা হয়। শুক্রের অশুভ প্রভাব কাটাতে দীপাবলির দিনে স্নানের জলে কুমকুম, এলাচ, সাদা চন্দন ও দুধ মেশানো যায়। শনির প্রভাব কমাতে কালো তিল, সুগন্ধি, মৌরি এবং শমী গাছের গুঁড়ো স্নানের জলে মিশিয়ে নেওয়া হয়। চন্দ্রের দুর্বলতা কাটাতে পঞ্চগব্য, শ্বেত চন্দন ও সাদা ফুল মিশিয়ে স্নান করলে মন ও শরীরের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।