ব্যুরো নিউজ, ১৪ ডিসেম্বর:দ্বীপান্বিতা দাস তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস। এতদিন তিনি পণ্যবাহী ট্রেন চালাতেন। এবার যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব নিয়ে নজির গড়লেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের প্রথম মহিলা লোকো পাইলট হিসেবে তার এই সাফল্যে গর্বিত সহকর্মীরা। ২০০৩ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা দ্বীপান্বিতা আজ অসাধারণ দক্ষতায় যাত্রীবাহী ট্রেন চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ইসকনের পিঠ ঠেকে গিয়েছে দেওয়ালে
নারী ক্ষমতায়নের উদাহরণ
প্রথমে আদ্রা ডিভিশনে কাজ করলেও পরে খড়্গপুর-অন্ডাল ডিভিশনে বদলি হয়ে মালগাড়ির লোকো পাইলটের দায়িত্ব পান তিনি। সেখানে টানা ১০ বছর কাজ করার পর যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দায়িত্ব পান। তিনি নিজেই জানান, পণ্যবাহী ট্রেনের তুলনায় যাত্রীবাহী ট্রেনে দায়িত্ব অনেক বেশি। প্রতিটি মুহূর্ত সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু এই বাড়তি চাপও তাকে পিছিয়ে দিতে পারেনি।দ্বীপান্বিতার স্বামীও রেলে কর্মরত এবং তিনিও একজন দক্ষ লোকো পাইলট। সংসারের দায়িত্ব সামলানো এবং চাকরির কঠিন দায়িত্ব পালন দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে সফল দ্বীপান্বিতা। তার এই সাফল্য প্রমাণ করে, নারীরা আর কোনও ক্ষেত্রেই পিছিয়ে নেই।
জেল থেকে মুক্তি পেলেন অভিজিৎ মণ্ডলঃ পরবর্তী আন্দোলন কোন পথে?
ভারতীয় নারীরা শুধু রেলে নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সাফল্যের চিহ্ন রেখে চলেছেন। বিমান চালনার মতো পুরুষ-প্রধান ক্ষেত্রেও নারীরা নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। এয়ার ইন্ডিয়ার মতে তাদের পাইলটদের মধ্যে ১৫ শতাংশই মহিলা। নারীদের এই উত্থান কর্মক্ষেত্রের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।ভারতীয় নারীদের এই সাফল্য দেখিয়ে দেয়, কঠোর পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনও ক্ষেত্রেই জয় অসম্ভব নয়। দ্বীপান্বিতা দাসের সাফল্য আরও একবার নারীর ক্ষমতায়নের উদাহরণ হয়ে উঠল।