ব্যুরো নিউজ, ২১ অক্টোবর :দক্ষিণ দিনাজপুরে ফের ডেঙ্গির সংক্রমণ উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। পুজোর সপ্তাহে ৬২ জন নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। যা জেলার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭০-এ পৌঁছে দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, বর্ষার কারণে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। যদিও প্রশাসন জানিয়েছে যে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারপরও উদ্বেগ বাড়ছে।
অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি
বালুরঘাট ব্লকের চিংগীসপুর এলাকায় মশাবাহিত ভাইরাল রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে, এবং স্থানীয় আশাকর্মী ও পঞ্চায়েত প্রশাসন আক্রান্তদের দেখভাল করার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
বঙ্গোপসাগরে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র আগমন আতঙ্ক বাংলায়
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পুজোর আগে থেকেই ডেঙ্গির সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু পুজোর সময় উৎসবের আমেজে জ্বর বা সর্দি-কাশি উপেক্ষা করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বালুরঘাটের চেঙ্গিসপুর পঞ্চায়েতের কিসমত রামকৃষ্ণপুর ও শিয়ালা গ্রামে ডেঙ্গির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। যেখানে ইতিমধ্যেই ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রতিবছর এই অঞ্চলে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়লেও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে তবুও প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হয়।
পাসপোর্ট ছাড়াই সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াতে পারেন এরা ! কারা জানেন ?
ডেঙ্গি একটি মশাবাহিত ভাইরাল রোগ । যার লক্ষণগুলির মধ্যে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশী ও জয়েন্টে ব্যথা, ত্বকের চুলকানি এবং ফুসকুড়ি অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় প্রশাসন মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মশারি ব্যবহারের পাশাপাশি আবর্জনা পরিষ্কার এবং নিকাশিনালার যথাযথ ব্যবস্থাপনার উপর জোর দিচ্ছে।
পঞ্চায়েতের সদস্যরা জানান, ‘ আমরা বছরের শুরুতে ডেঙ্গি সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কিন্তু মানুষের অবহেলার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।’ আশাকর্মী ও স্বাস্থ্য দপ্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আক্রান্ত সকল রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।