ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি: দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ সেন্টারে ভোট দিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ভোটদান শুরু হয়েছে, তবে এরই মধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির খবর এসেছে। সীলমপুর, চিরাগ দিল্লি এবং জংপুরাতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি অভিযোগ করেছে, কিছু এলাকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে, তবে আম আদমি পার্টি (AAP) এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপি টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা এবং হাতাহাতি দেখা গেছে, যা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
উত্তর প্রদেশের মিল্কিপুর উপনির্বাচনে বিরাট গোলমাল
শক্তি প্রমাণের চেষ্টা
বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৯৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি (AAP) ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল, বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৮টি আসন। এবারও দিল্লির রাজনীতিতে শীর্ষস্থান দখলের জন্য তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। দিল্লির ‘দিল’ অর্থাৎ কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে বিজেপি এবং AAP একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। কংগ্রেসও নিজেদের শক্তি প্রমাণের জন্য চেষ্টা করছে।
দিল্লির ‘দিল’ জিতবে কে? আজকের বিধানসভা নির্বাচনে হবে চূড়ান্ত নির্ধারণ
ভোটগ্রহণ শুরুর পর, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, সিপিআইএম নেতা প্রকাশ কারাত এবং বৃন্দা কারাত ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও ভোট প্রদান করেছেন। ভোট দেওয়ার পরে বৃন্দা কারাত বলেন, “ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিপর্যয় থেকে দিল্লিকে রক্ষা করতে হবে,” এবং সেই উদ্দেশ্যেই তারা ভোট দিয়েছেন।এদিকে, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ভোট দিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর বাবা-মা বারবার তাঁকে ভোট দেওয়ার কথা বলছিলেন।
তিনি আরও বলেন, “জনগণ তাদের কাজের জন্য ভোট দেবেন,” এবং এটা আম আদমি পার্টির জন্য ভালো খবর হতে পারে।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১১ টা পর্যন্ত দিল্লিতে ভোটের হার ছিল ১৯.৯৫ শতাংশ। ভোটের হার অনুযায়ী, মুস্তাফাবাদ এলাকায় ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা সবচেয়ে বেশি, আর করোলবাগে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে, ১১ শতাংশ।এখন দিল্লির রাজনীতিতে প্রশ্ন হচ্ছে, কে হবে জয়ী? আম আদমি পার্টির আধিপত্য বজায় থাকবে, নাকি বিজেপি দীর্ঘ ৩০ বছর পর দিল্লিতে আবার ক্ষমতায় ফিরবে, নাকি কংগ্রেস কোন চমক দেখাবে?