ব্যুরো নিউজ , ৮ ফেব্রুয়ারি:দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে শুরু থেকেই বিজেপি বেশ ভালো অবস্থানে ছিল। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বিজেপি এবার দিল্লিতে বিশাল জয়ের দিকে এগিয়ে। আম আদমি পার্টির (AAP) হেভিওয়েট নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অতিশী, মণীশ সিসোদিয়া, কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন। কংগ্রেস আবারও দিল্লিতে প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। তাদের কার্যক্রম খুবই সীমিত হয়ে গেছে, এবং তারা বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়নি।
দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল: বিজেপির উত্তরণ নাকি আপের জয়?
প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি
দিল্লিতে বিজেপির জয়ের পর বাংলার রাজনৈতিক নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই জয় বাংলাতেও বিজেপির জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে। শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার ব্যক্ত করেছেন, এবার বাংলার বাঙালিরাও বিজেপিকে জয়ী করার জন্য ভূমিকা রাখবে। দিল্লিতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি ভোটারদের মন জয় করতে সুকান্ত ও শুভেন্দুদের নেতৃত্বে প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি।এই পরিস্থিতিতে, দিল্লির সচিবালয়ে একটি বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়, যেখানে ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হওয়ার পর সরকারি কর্মীদের সচিবালয়ে যেতে বলা হয়েছে, যাতে কোনো সরকারি নথি লোপাট না হয়। এর আগে কেজরিওয়ালের বাড়িতে অ্যান্টি করাপশন ব্যুরোর আধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছিলেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, দিল্লি নির্বাচনের প্রেক্ষিতে আন্না হজারে মন্তব্য করেছেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, নির্বাচনে লড়াই করতে হলে কঠোরভাবে বিচার ও নীতি মেনে চলা প্রয়োজন। জীবন নিষ্কলঙ্ক হতে হবে, ত্যাগের ভাব থাকতে হবে এবং নিজের অপমান সহ্য করার শক্তি থাকতে হবে। যখন এসব থাকবে, তখনই ভোটাররা বিশ্বাস করবে যে, আমাদের জন্য কিছু করার কেউ আছে।
দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির এগিয়ে যাওয়ার খবর: কংগ্রেসের ভূমিকা তলানিতে, আপ নেতাদের কঠিন লড়াই
কিন্তু তাদের মাথায় এই কথাগুলো আসেনি। তারা মদের ইস্যু উত্থাপন করেছে, এবং সেখানেই তাদের পতন ঘটেছে।”এবার দিল্লির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিজেপির জয় একটি বড় বিষয় হয়ে উঠেছে, এবং বাংলাতেও এর প্রভাব পড়বে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।