ব্যুরো নিউজ , ৬ ফেব্রুয়ারি :দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বুথফেরত সমীক্ষাগুলির ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসতে পারে এবং কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) হারাতে চলেছে। তবে আপ এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে এবং তারা ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার চূড়ান্ত গণনার পরই আসল ফলাফল জানার অপেক্ষায় রয়েছে। বিশেষ করে, হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের পরে বুথফেরত সমীক্ষার ফলের ক্ষেত্রে যে বিভ্রান্তি দেখা গিয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে আপ নেতারা এখনও পুরোপুরি হাল ছাড়েনি। তারা বলছে, ‘এগজিট পোল’ বা বুথফেরত সমীক্ষার ফল কখনও কখনও আসল ফলের সাথে মেলে না।
অভিষেক বচ্চনের জন্মদিনে ঐশ্বর্য রাইয়ের বিশেষ শুভেচ্ছা, অনুরাগীরা মুগ্ধ
ভারতের নির্বাচনী ইতিহাস
ভারতের নির্বাচনী ইতিহাস দেখলে দেখা যায়, অনেক সময় বুথফেরত সমীক্ষা আসল ফলের থেকে অনেকটা আলাদা হতে পারে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে সমীক্ষার ফল বাস্তব ফলের কাছাকাছি থেকেছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। তবে বুথফেরত সমীক্ষাগুলি দিল্লিতে বিজেপির জয়ের দিকে ইঙ্গিত করছে। অধিকাংশ সমীক্ষায় বিজেপি বা তার সহযোগীদের ৩৫ থেকে ৫০টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখানো হয়েছে।
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপ ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬২টি আসন পেয়েছিল, বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৮টি আসন। কংগ্রেস সে সময় শূন্য আসনে শেষ করেছিল। এবারে কংগ্রেসের পরিস্থিতি কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বেশ কিছু বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, কংগ্রেসের আবারও শূন্য হাতে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা দলের জন্য এটি বড় ধাক্কা হতে পারে, বিশেষ করে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের জন্য।
নিজেকে মেসি-মারাদোনার থেকেও বড় ফুটবলার মনে করেন রোনাল্ডো। তবে কী বলছেন মেসির ম্যানেজার?
এদিকে, এই নির্বাচন সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩৬টি আসন পেলে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা অর্জিত হবে। ফলে, এই ফলাফল দলের জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন এনে দিতে পারে। তবে আসল ফলাফলের জন্য সবাইকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বুথফেরত সমীক্ষার ফল দিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন, কারণ অতীতে বহুবার দেখা গেছে যে এই ফলাফল নির্বাচনী ফলাফলের থেকে অনেকটাই আলাদা।