ব্যুরো নিউজ, ২৫ সেপ্টেম্বর :রাত শেষ হওয়ার আগেই চম্পাহাটির রায়পুর গ্রামের ছোট্ট বাড়ি থেকে নলকূপ বসানোর যন্ত্রপাতি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন প্রদীপ বিশ্বাস। কাজ কখনও জোটে, কখনও জোটে না। প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে তার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন প্রায় ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা কমেনি।
মোহনবাগানের জয়: গোল খাওয়ার চিন্তায় মোলিনা, দীপেন্দুর দাপট
ভারতীয় ফুটবলের উজ্জ্বল তারকা দীপেন্দু
বাংলাদেশের ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের দেশে ফিরে আসছেন ?
দীপেন্দু বিশ্বাস তখন ভারতীয় ফুটবলের উজ্জ্বল তারকা। তাকে আই এম বিজয়নের সঙ্গে তুলনা করা শুরু হয়েছে। প্রদীপবাবু, যিনি দীপেন্দুর বাবা, ঠিক করেন যদি ছেলে হয়, তবে নাম রাখবেন দীপেন্দু। ফুটবল শেখাবেন। সোমবার রাতে যুবভারতীতে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নতুন দীপেন্দুর গোলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সমতা ফেরানোর পরে প্রদীপবাবুর চোখ জলে ভরে উঠেছিল। তিনি ফিরে গিয়েছিলেন অতীতের দুঃসহ দিনগুলিতে।
সবুজ-মেরুন জার্সিতে প্রথম গোল করলেন দীপেন্দু
প্রদীপবাবু বলেন, ‘অগ্রণী ক্লাবে খেলতাম। কিন্তু অর্থের অভাবে দু’বেলা খাওয়া জুটত না। বাধ্য হয়ে ফুটবল ছেড়ে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করি’।দীপেন্দু বিশ্বাস তখন মোহনবাগানের হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন, এবং প্রদীপবাবু তার প্রতি ভক্ত হয়ে যান। তিনি মনস্থির করেন, ‘পুত্র হলে নাম রাখব দীপেন্দু’।
মোহনবাগান কোচ হোসে ফ্রান্সিসকো মলিনা দীপেন্দুকে দেশের সেরা স্টপার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দীপেন্দুর বাবা জানান, ‘দীপেন্দুকে প্রথমে অ্যাথলেটিক্সে দিয়েছিলাম। সে দারুণ দৌড়াত। এক দিন বলল, ‘বাবা, আমি ফুটবলার হতে চাই।’ খুব খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু একই সঙ্গে উদ্বেগও বেড়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির কাছে নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে কাউন্সিলরের উপস্থিতি; নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
দীপেন্দুর ফুটবলার হওয়ার পেছনে রয়েছে মনোজিৎ দাসের অবদান। তিনি দীপেন্দুকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং জানান, ‘দীপেন্দু শৃঙ্খলাপরায়ণ ও পরিশ্রমী। ওর শেখার আগ্রহ প্রচণ্ড’।মনোজিৎ বিশ্বাস করেন, দীপেন্দুর গোল করার দক্ষতার মূল কারিগরও তিনি।
দীপেন্দু স্নাতক হয়েছেন, তবুও অনুশীলন এবং লেখাপড়া একসাথে চালিয়ে গেছেন। তার বাবা বলেন, ‘দীপেন্দু কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশোনা করেছে। পরীক্ষার সময়েও অনুশীলন বন্ধ করেনি’।