ব্যুরো নিউজ, ১১ অক্টোবর :পুজোয় বাংলার গৌরব বৃদ্ধি করল দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক। যা রেড পান্ডা সংরক্ষণ ও প্রজননে বিশ্বের সেরা তিনটি চিড়িয়াখানার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এটি ভারতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। কারণ দেশের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো কোনও চিড়িয়াখানা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চলেছে। ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ চিড়িয়াখানা এন্ড অ্যাকোয়ারিয়ামের (ওয়াজা) এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি দার্জিলিং চিড়িয়াখানার সংরক্ষণ প্রচেষ্টার এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি।
যশের জন্মদিনে নুসরতের বিশেষ ভালোবাসা নিয়ে বিতর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায়
রেড পান্ডা সংরক্ষণ
বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটি আমাদের সংরক্ষণ প্রচেষ্টার সাফল্য, যা পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষণ কর্মসূচিকে উৎসাহিত করবে।’
দার্জিলিংয়ের এই চিড়িয়াখানায় ১৯৯০ সাল থেকে বিলুপ্তপ্রায় রেড পান্ডার সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়। প্রথমে চারটি রেড পান্ডা নিয়ে প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়, এবং ২০২২ সালের মধ্যে তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নয়টি রেড পান্ডা সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়, যেখানে বন্য অঞ্চলে পাঁচটি শাবকের জন্ম হয়েছে।
জায়গার নাম ইমামবাড়া হলেও এখানে দুর্গাপুজো হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে হয়
বর্তমানে চিড়িয়াখানায় মোট ৪টি পুরুষ, ১১টি মেয়ে এবং চারটি শাবক রয়েছে। কিছু রেড পান্ডা ইতিমধ্যেই ভারত ও বিদেশের অন্যান্য চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানে রেড পান্ডার বাসস্থান পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, রেড পান্ডার সংরক্ষণে সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ও ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানগুলি গবেষণা কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। এই সমস্ত উদ্যোগের ফলস্বরূপ রেড পান্ডার সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের সংরক্ষণে সহায়ক হবে।
কলকাতায় ‘আকাশের তিমি’ বেলুগা এক্সএল বিমানের আগমন
বাংলার এই সাফল্যে খুশি হয়ে বন বিভাগের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রেড পান্ডাদের প্রাকৃতিক বাসভবনে দীর্ঘমেয়াদী সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য ভবিষ্যতে আরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।