ব্যুরো নিউজ, ২৫ মে : ঘূর্ণিঝড় রেমালের আতঙ্কে এখন প্রহর গুনছে রাজ্যবাসী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবার মধ্যরাতেই উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি দফতর থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল মন্ত্রকও। ঝড়-বৃষ্টি হলেও ওভারহেড তারে ডাল ভেঙে পড়ে। ফলে ট্রেন চলাচলে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে এখন থেকেই যে সমস্ত গাছ ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সমস্ত গাছ গুলিকে চিহ্নিত করে কেটে ফেলার ব্যবস্থ করা হচ্ছে বলে পূর্ব রেল সূত্রে খবর। অনেক সময় ঝড়ের গতি বেশি হলে স্টেশনের শেড ভেঙে বিপদ ঘটে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের বিভিন্ন স্টেশনের শেড পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, যাতে ঝড়ের সময় ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা না থাকে।
ক্যানিং থেকে ৫০০ কিমি দূরে রয়েছে ‘রেমাল’। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রইল সব আপডেট
পরিস্থিতি সামলাতে বিশেষ ব্যবস্থা রেল মন্ত্রকের
এর পাশাপাশি রেললাইনের পাশের নালাগুলিকেও পরিষ্কার করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোনও ধরনের বিপত্তি এড়াতে প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। ঝড়ের কারণে গাছের ডাল ওভারহেড তারে পড়লে যাতে দ্রুত টাওয়ার ভ্যান সেখানে পৌঁছতে পারে তারও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয় যে সমস্ত এলাকায় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে সেই সমস্ত এলাকার কাছাকাছি ভ্যানগুলিকে রাখার কথা বলা হয়েছে। যে সমস্ত কারশেডে ইঞ্জিন ও কোচ রাখা রয়েছে সেই সমস্ত ইঞ্জিন ও কোচ যাতে ঝড়ের কারণে ’রোল’ না করে সেই জন্য লাইনের সঙ্গে চেন দিয়ে সেগুলি বাঁধা হবে। চাকার তলায় দেওয়া হবে গতি রোধক ‘গুটকা’
অন্যদিকে ঝড়ের জন্য এখনও কোনও ট্রেন সেইভাবে বাতিল করা না হলেও, নিরাপত্তার কারণে কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেগুলি হল- দক্ষিণ পূর্ব রেল আপ ও ডাউন কাণ্ডারী এক্সপ্রেস ও দুটি ইএমইউ বাতিল করা হয়েছ রবিবার। সোমবার আরও দু’টি ইএমইউ বাতিল করা হয়েছে। শনিবার পুরী থেকে দিঘাগামী ট্রেনটি খড়গপুরে যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পরের দিন ওখান থেকেই পুরী ফিরবে বলে জানা যাচ্ছে।