ব্যুরো নিউজ, ১ এপ্রিল, রাত্না দাস: কয়েক মিনিটের ঝড় তাতেই লন্ডভন্ড গোটা এলাকা। চোখের পলকেই সব শেষ। কয়েক মিনিট আগেও বোঝা যায়নি এমনটা ক্ষতি হতে চলেছে জলপাইগুড়ি ধুপগুড়ি ময়নাগুড়ি সহ আলিপুরদুয়ারের তিনটি গ্রাম। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের আহত সাড়ে ৩০০। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮০০ বাড়ি। বাড়িগুলি সবটাই টিন দিয়ে তৈরি বলে মাটির সাথে মিশে যেতে সময় লাগেনি। ক্ষেতের পর খেত ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য চাষেরও। বড় বড় গাছ থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি সব মাটির সাথে মিশে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছে দানবের মতো এগিয়ে এসেছে কালো ঘূর্ণিঝড় সেই ঝড়ের সামনে থাকা সবকিছুকেই খেলনার মত এদিক ওদিক ছিটকে গেছে। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর তারা মনে করছেন এই ঝড় একেবারেই কালবৈশাখী নয়। ‘মিনি টর্নেডো’ বলে দাবি করছেন তারা।
কৃষ্ণনগরের সভা থেকে রাজমাতাকে কটাক্ষ মমতার
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে রামলীলা ময়দান থেকে সুর চড়াল তৃণমূল নেতৃত্ব
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিরোধী দলনেতা
ঝড় থামার পরই প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। গতকালই রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করেছিলেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন “রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ পাশে আছে যেহেতু নির্বাচনী বিধিনিষেধ চলছে তাই আমি বিস্তারিত বলছি না প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে যা করার সব করবে”।ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন নিহতদের পরিবারের প্রতি।দূর্গতদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
জলপাইগুড়ি পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কথা বলবেন ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে। রাজভবনে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে তিনি কলকাতা থেকে সাংবাদিকদের জানান, এই পরিস্থিতিতে সকলকে পাশে থাকতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। পুনরায় এদের বাসস্থান তৈরি করে আগের পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে। রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের। কারণ নির্বাচনী আচরণ বিধি লাভ হওয়ার জন্য কোন রাজনৈতিক নেতা প্রতিনিধি এরা কোনরকম সাহায্য করতে পারবে না ক্ষতিগ্রস্তদের ।শুধুমাত্র পাশে থাকার আশ্বাস এবং সহানুভূতি জানাতে পারবেন। তাই ইতিমধ্যেই ভারত সেবা সংঘ, রামকৃষ্ণ মত মিশন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এরা কাজ শুরু করে দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য।দুর্গতদের জন্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে খাবার,পানীয় জল,ওষুধপত্র।