ব্যুরো নিউজ,১ আগস্ট: ভয়ংকর সাইবার হানার মধ্যে পড়েছে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর। আপাতত সাময়িকভাবে প্রায় অনলাইন ট্রানজাকশন থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের প্রক্রিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেশের প্রায় ৩০০টি ব্যাংক আপাতত তাদের সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এই সাইবার হানার শিকার হয়েছে সিএজ টেকনোলজি নামে একটি সংস্থা।
মমতার সরকার হিসাব দেয় না, তবে পুরনো অভ্যাস বদলাচ্ছে, সংসদে মন্তব্য অমিত শাহের
কি ধরনের সাইবার অ্যাটাক?ব্যাঙ্কে এর প্রভাব কি মারাত্মক?
ব্যাংকিং সেক্টরে অর্থাৎ ব্যাংকগুলিতে ডিজিটাল পরিষেবা থেকে শুরু করে অনলাইনে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত পুরো নেটওয়ার্কটি পরিচালনা করে এই সি এজ টেকনোলজি নামের সংস্থা। বুধবার রাতেই এই সংস্থায় সাইবার হানা হয়। সেক্ষেত্রে আর বি আই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, র্যানসমওয়্যার হানার ফলে দেশের প্রায় ৩০০ টি ব্যাংক এই মুহূর্তে সমস্ত আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে তার প্রভাব পড়েছে। আপাতত সি এজ টেকনোলজির থেকে এই আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ককে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এর সম্পূর্ণ প্রভাব পড়ছে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল, গ্রামীণ ব্যাংক এবং সমবায় ব্যাংক থেকে শুরু করে যে সমস্ত রুরাল সেক্টরে ব্যাংক রয়েছে, তার ওপর। সেখানে সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ফর্মার প্রেসিডেন্ট, দিল্লির কথায় রেগে লাল অধীর, মমতা বিরোধিতায় পা বাড়াবেন কোন পথে?
Ransomware Attack হলো একটি ডিজিটাল কিডন্যাপ বা অপহরণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে সাইবার হানা হলে সেই সংস্থার সমস্ত কিছু অ্যাক্সেস করে ফেলে তারা। সব ফাইল এনক্রিপ্ট করে ফেলা হয়। আর এরপরেই তথ্য, ডকুমেন্টস এবং সমস্ত ফাইল ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মোটা মুক্তিপণ দাবি করে সাইবার অপরাধীরা। এক্ষেত্রেও Ransomware হানার মাধ্যমে সেটাই ঘটেছে। এটিএমে টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে, টাকা তোলা প্রায় যাচ্ছে না। পাশাপাশি ইউপিআই পেমেন্ট ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। প্রায় ৩০০ টি ব্যাংক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন। কিছুদিন ধরেই RBI এবং তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তর জানাচ্ছিলো, ব্যাংকগুলির সিস্টেমে সাইবার হানা হতে পারে। এই বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছিল। আর এবার বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেখা গেল সেই ঘটনা। যদিও প্রযুক্তিগতভাবে সেই পরিস্থিতি কিভাবে ঠিক করা যায় তার চেষ্টা চলছে।