ব্যুরো নিউজ,১২ ডিসেম্বর:করোনার সময় ভারত সরকার বিনামূল্যে দেশের সমস্ত নাগরিককে কোভিড প্রতিষেধক দিয়েছিল। যদিও এই প্রতিষেধক বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে এবং করোনার প্রকোপ কমাতে সহায়ক হয়েছে।কিন্তু পরবর্তীকালে অল্পবয়সীদের আকস্মিক মৃত্যু এবং হৃদরোগের ঘটনা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে। তবে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, এই মৃত্যুগুলোর জন্য করোনার প্রতিষেধককে দায়ী করা ঠিক নয়।
তালিবান মন্ত্রী খইলাল হাক্কানির মৃত্যু, বিস্ফোরণে নিহত ৭
অল্পবয়সীদের আকস্মিক মৃত্যু ও সমীক্ষার ফলাফল
২০২১ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে, ১৮-৪৫ বছর বয়সীদের হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আইসিএমআর। সমীক্ষার শিরোনাম ছিল “Factors Associated with Unexplained Sudden Deaths among 18-45 Years in India”, যেখানে ১৯টি রাজ্যের ৪৭টি চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে ৭২৯টি আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখা হয়।সমীক্ষায় উঠে আসা কারণ হিসেবে আইসিএমআর-এর তথ্য অনুযায়ী, আকস্মিক মৃত্যুর নেপথ্যে বিভিন্ন কারণ ছিল, যেমন
অতীতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস।
পরিবারে পূর্বেও এই ধরনের মৃত্যু ঘটা।
অতিরিক্ত কায়িক শ্রম, বিশেষ করে মৃত্যুর পূর্ববর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে।
কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের প্রভাব।
এই সমীক্ষা থেকে পরিষ্কার হয়েছে যে, করোনার প্রতিষেধক এই আকস্মিক মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়।
২০২৪ সালে গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা ব্যক্তি কে জানেন?
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে পি নড্ডা বলেন ‘করোনার প্রতিষেধকের কারণে অল্পবয়সীদের মধ্যে হৃদরোগ বা আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়েনি। বরং এই প্রতিষেধক বহু মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমিয়েছে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার প্রতিষেধক জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় আশীর্বাদ ছিল। এটি দেওয়ার আগে প্রতিষেধকগুলোর বহু পর্যায়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং, প্রতিষেধক নিরাপদ এবং এটি মৃত্যুহার কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।