ব্যুরো নিউজ,২ ডিসেম্বর:হরিয়ানার পর এবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে তারা নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের এই অভিযোগের পর বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র আক্রমণ এসেছে।বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন,’যদি কংগ্রেস নেতারা মনে করেন যে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে, তাহলে তাদের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয়।’
শমীক ভট্টাচার্যঃ ‘ভারতীয় রাষ্ট্রনায়কদের ভুল সিদ্ধান্তের ফল’ বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর চলমান অত্যাচার
৫৭ এবং ৪১টি আসন
বিজেপির দাবি, ইভিএমে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি এবং সুপ্রিম কোর্টও বহুবার নির্বাচন কমিশনকে ক্লিন চিট দিয়েছে।ভাটিয়া কংগ্রেসকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন,‘কংগ্রেসের সব মুখ্যমন্ত্রী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে, কারণ তারা ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন।’ ভাটিয়া কংগ্রেসকে ধীরে ধীরে মুছে যাওয়া রাজনৈতিক দল হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, ‘তারা শুধু বইয়ের পাতায় থাকবে, আর কিছু নয়।’ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর, বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুক্তি জোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩৩টি আসন জিতেছে, যেখানে বিজেপি একাই ১৩২টি আসন পেয়েছে। এর পাশাপাশি শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে) এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার) যথাক্রমে ৫৭ এবং ৪১টি আসন পেয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বড় আন্দোলন, কলকাতা অচল করার হুঁশিয়ারি
কংগ্রেস তাদের অভিযোগের মধ্যে ভোট গণনা, ভোটের সংখ্যা এবং বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেছে। কংগ্রেসের দাবি, গণনা যথাযথ হয়নি এবং ভোটের ফলাফল সঠিক নয়। এর পাশাপাশি, শিবসেনা (উদ্ধব) শিবিরের সাংসদ সঞ্জয় রাউতও গণনায় কারচুপি প্রসঙ্গে অভিযোগ তুলেছেন।নির্বাচন কমিশন কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের এই দাবিগুলো খারিজ করেছে, তবে তারা আগামী ৩ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।