ব্যুরো নিউজ,২২ আগস্ট:২৮ শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের এই কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ওই কর্মসূচিতে উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আর জি কর ঘটনা প্রবাহের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সমাবেশ নিয়ে টানা পড়েন চলছে। রাজ্যজুড়ে আরজি কর কাণ্ডে যেখানে সমস্ত স্তরের মানুষ সরব সেখানে শাসকদলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিরব। তিনি এই বিষয়ে কোনোভাবেই মুখ খুলতে চাননি। দলের বিভিন্ন অংশ থেকে তাকে তার সক্রিয়তা দেখানোর কথা বলা হলেও তিনি কোন সক্রিয়তা দেখেননি। আর তাতেই দল এবং প্রশাসনের মধ্যে জল্পনা চরমে উঠেছে।
সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক
RG Kar case:নড়ে যাবে মমতার গদি!আরজি কর ইস্যুতে টানা আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি
২৮ শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন আদৌ তিনি সেখানে উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রত্যেকবার ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচির আগে যাবতীয় খুঁটিনাটির দেখাশোনা তিনিই করেন। কিন্তু এবছর তাকে সেই ভাবে দেখা যাচ্ছে না। বরং এ বিষয়টি নিয়ে দেখভাল করছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। এখন প্রশ্ন হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব কেন। দলের অন্দরের কোন্দল কি তার কারণ? এমনিতেই প্রশাসন পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নবান্নের সম্পর্কে চির ধরেছে। প্রশাসনিক পরিচালনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
যা জেনেছি, পরে বলবো সিলবন্ধ খামে মুখ্যমন্ত্রীকে সেই তথ্য পাঠাচ্ছেন রাজ্যপাল
এবার আরজিকর কাণ্ড নিয়ে চুপ থাকা সেটাও কি আরো একবার প্রমাণ করল যে নবান্নের সঙ্গে তার সম্পর্ক সত্যিই খারাপ হয়ে গিয়েছে?তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য অবশ্য বলেছেন সমস্ত জল্পনা ভিত্তিহীন। সমাবেশ কে সাফল্যমন্ডিত করতে সব রকম প্রস্তুতি চলছে। আর জি কর কাণ্ডে সরকার সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
কি চলছে বাংলায়?সিবিআই জেরার মধ্যেই সন্দীপকে নতুন দায়িত্ব মমতার,ফের অধ্যক্ষ বদল আরজি করে
প্রসঙ্গত ১৪ আগস্ট মাঝ রাতে আরজিকর হাসপাতালে যে হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল তার প্রশাসনিক সক্রিয়তা চেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমে বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন চিকিৎসক এবং ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারের কাছে প্রশাসনিক দায়িত্বের প্রত্যাশা করতেই পারেন। কিন্তু তারপর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে আর মুখ খুলতে দেখা যায়নি তিনি এখনো পর্যন্ত নিরব দর্শকের ভূমিকায় পালন করছেন। প্রসঙ্গত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই আরজিকর কাণ্ডের ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছিলেন।