ব্যুরো নিউজ,২ সেপ্টেম্বর :আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে জোরকদমে। সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে প্রশ্ন দানা বাধতে শুরু করেছে, কবে শেষ হবে এই তদন্ত? কবে দোষীদের কড়া শাস্তি দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষ? সিবিআইয়ের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এবার আরজিকর কাণ্ডের রহস্যে সামনে উঠে এসেছে আরও একটি নয়া তথ্য।
পর্যটকদের জন্য সুখবর। আসতে চলেছে ব্রিটিশ ডুয়ার্স
সিবিআইয়ের তরফে খোঁজ শুরু:
টালা থানায় যে অভিযোগপত্র লেখা হয়েছিল, যার ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে মামলা রুজু করে বলে দাবি, সেই অভিযোগ পত্রে কোনো সময়ের উল্লেখ নেই। কখন পরিবারের তরফে এই অভিযোগপত্র পুলিশের কাছে জমা করা হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, মৃতার বাবার সই করা অভিযোগ পত্র লিখেছেন কে? লেখার বয়ান নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। সিবিআই অভিযোগ পত্রের বয়ান লেখক কে তলব করে জেরা করেছে। তার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পত্রে দেখা যাচ্ছে, লেখা হয়েছে, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জি এবং কলকাতা পুলিশের মাননীয় নগরপাল শ্রী বিনীত গোয়েল স্যার আমাদের কথা দিয়েছেন এর সুবিচার পাবো। প্রশাসন এবং সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে পুনরায় অনুরোধ করছি, দয়া করে সন্তানহারা এই বাবার আবেদন মান্যতা দেবেন। ঘটনার পরম্পরা জানানোর পরে লেখা হয়েছে।
অরিজিৎ সিং এর এক্স হ্যান্ডেল প্রোফাইল হঠাৎ বন্ধ হল কেন? প্রশ্ন ভক্তদের
লেখার শেষে ডানদিকে মৃতার বাবার নাম লেখা এবং তার মোবাইল নম্বর। বাম দিকে লেখা ৯ আগস্ট ২০১৪ কিন্তু কোনো সময়ের উল্লেখ নেই। অভিযোগ পত্রে পুলিশের স্টাম্প বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সই করেছেন এক পুলিশ কর্মী। সেখানেও সময় উল্লেখ করা হয়নি। আর এই বিষয়টি আদালতের পর্যবেক্ষণে একাধিকবার উঠে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টও জানতে চেয়েছে। পুলিশের তরফে যুক্তি হিসেবে দাবি করা হয়েছে, পরিবারের তরফে অভিযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তারপরেই এফআইআর রুজু করা হয় রাত পৌনে বারোটায়। সেখানেই প্রশ্ন, এরকম গুরুতর ঘটনা, যেখানে মৃতদেহ দেখে খুনের ঘটনা বোঝা যাচ্ছে, পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা কেন করবে? নির্যাতিতার মৃতদেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। মৃতার মা বলেছেন, টালা থানায় বসেছিলাম। মৃতদেহ থানায় না আনলে যাব না বলেছিলাম। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে কিছু না জানিয়েই মেয়ের মৃতদেহ বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। অদ্ভুত রকম চাপ তৈরি করা হয়েছিল।
আরজিকর কাণ্ডের আবহেই আরও এক মহিলার শ্লীলতাহানি।প্রশ্ন মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে
সূত্র মারফত খবর, থানায় এই অভিযোগ পত্র লেখা চলাকালীন এক ‘প্রভাবশালী নেতা কাকুর’ বয়ানের বিরোধিতা করেছিলেন মৃতার বন্ধু। তখন ওই বন্ধুর বাবা-মা উপস্থিত মৃতার বন্ধু আইনজীবীকেও নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে অভিযোগ পত্র লিখতে দেওয়া হয়নি। আইনজীবীও এমন বক্তব্য না লেখার অনুরোধ করলে ওই প্রভাবশালী নেতা কাকুর দাপটে তা ধোপে টেকেনি বলেই এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি। এবার এই ঘটনাটার সম্পূর্ণ খোঁজ করছে সিবিআই।সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।