ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:ইতিহাস বলছে, মহান অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রয়াত হন। তাঁর দেহাবশেষের অন্তিম অবস্থান নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক চলছিল। তবে আধুনিক বিজ্ঞান এবার এই রহস্যের একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান দিয়েছে। ফরেনসিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সাহায্যে ৫০০ বছরের পুরনো এই রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হয়েছে। স্পেনের সেভিলের ক্যাথিড্রাল থেকে পাওয়া মানবদেহের অবশেষটি কলম্বাসেরই, তা নিশ্চিত করেছে বিজ্ঞানীরা।একটি জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই রহস্যের সমাধানে ২০ বছর ধরে গবেষণা চলেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা কলম্বাসের আত্মীয়দের বর্তমান প্রজন্মের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো ক্যাথিড্রালে থাকা দেহাবশেষের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন।
হরমনপ্রীত কৌরের সিদ্ধান্তে বিফল ভারতীয় মহিলা দল, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ রানে হার
‘পারফেক্ট ম্যাচ’
ফলস্বরূপ, তারা ১০০ শতাংশ মিলে যাওয়ার প্রমাণ পান, যা বিজ্ঞানীরা ‘পারফেক্ট ম্যাচ’ বলে অভিহিত করেছেন।কলম্বাসের দেহ কোথায় সমাধিস্থ হয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। মৃত্যুর পর তাঁর দেহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যার ফলে এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। তবে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে। গবেষক মিগুয়েল লোরেনতে বলেন, “নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে এই রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হয়েছে। আগে শুধু ধারণা ছিল যে সেভিলের ক্যাথিড্রালে থাকা দেহাবশেষটি কলম্বাসের। এখন তা প্রমাণিত হয়েছে।” স্পেনের ক্যাথিড্রালে কলম্বাসের ভাই দিয়েগো এবং ছেলে হেরান্দোর সমাধিও রয়েছে। তাদের দেহাবশেষ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল এবং সেগুলোও ‘পারফেক্ট ম্যাচ’ পেয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’, সরকারের চিঠিতে উত্তেজনা
২০০৩ সালে মিগুয়েল ও তাঁর দল সমাধিটি খুলে দেহাবশেষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে সমর্থ হন। তখনকার ডিএনএ প্রযুক্তি আজকের মতো উন্নত ছিল না, ফলে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল।স্পেনের সরকারি টেলিভিশনে এই গবেষণার সাফল্য নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হচ্ছে, যার নাম ‘কলম্বাস ডিএনএ: দ্য জেনুইন ওরিজিন’। এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের কাছে এই গবেষণার ফলাফল ও তাৎপর্য তুলে ধরা হবে। এটি ইতিহাস এবং বিজ্ঞানের একটি মাইলফলক, যা কলম্বাসের দেহাবশেষের রহস্যের সমাধান করেছে।