ব্যুরো নিউজ,২৭ আগস্ট:বেশ কয়েক দিন ধরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। রোভার ফের ঘুমিয়ে পড়বে ১৪ দিন পর যখন দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামবে।চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোন মহাকাশযানেরই ১৪ দিনের বেশি কাজ করা সম্ভব নয়। গত বছরই ইসরোর রোভার প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে পড়েছিল চাঁদে নামার দশ দিনের পরেই। ইসরোর বিজ্ঞানীরা আশা করেছিল যে দক্ষিণ মেরুতে যখন আলো ফুটবে রোভার প্রজ্ঞান হয়তো আবার জেগে উঠতে পারবে। কিন্তু তাদের আর ঘুম ভাঙ্গেনি। চাঁদের মাটিতেই চিরতরে থেমে গিয়েছে প্রজ্ঞান।কিন্তু ক্ষীণ আসা রয়েছে রোভারকে জাগানো।ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চ্যালেঞ্জ নিয়েছে তারা আবার নতুন করে মহাকাশযান চাঁদে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। তিন চার সপ্তাহ কাজ করতে পারবে এমন এক মহাকাশযান চাঁদে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে ইসরো।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেই বন্ধ হবে লক্ষীর ভান্ডার
চন্দ্রযান পক্ষে কাজ করা কি সম্ভব
প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাণ্ডে হতবাক তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা
আবার মহাকাশযান পাঠানোর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা গবেষণা্র কাজ শুরু করে দিয়েছে। এই চন্দ্রযানটি অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ কাজ করতে পারে সেই দিকগুলি তারা খতিয়ে দেখছে। এবার অন্ধকার নামার পরেও রোভার যাতে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসরো বিজ্ঞানীরা । চন্দ্রযান ৩ যেটা পারেনি সেটাই চন্দ্রযান ৪ তা করে দেখানোর চেষ্টা করবে ।
ইসরোর এক বিজ্ঞানী শিবন নাভালকার বলেন, চন্দ্রযান ৩ প্রজ্ঞানের চান্স খুব কম ছিল ঘুম ভাঙার। সোলার প্যানেলে প্রজ্ঞানকে এমনভাবে রাখা হয়েছিল যে ওখানে সূর্যের আলো পড়লে সুইচ চালু হয়ে যাবে এবং তার ঘুম ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এবার চন্দ্রযান ৪- এ এই ধরনের একাধিক সুইচ থাকছে বলে জানিয়েছে। আর চন্দ্রযান ৩- এর তুলনায় চন্দ্রযান ৪- এর সোলার প্যানেল তুলনামূলক অনেক শক্তিশালী। আর এই সোলার প্যানেল যদি কাজ না করে তাহলে কন্ট্রোল রুম থেকে রোভারকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করবে ইসরো বিজ্ঞানীরা। এক সংবাদ মাধ্যম সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছে নাভালকার সেখানে তিনি বলেন, রোভার যেন এক ছাত্র তাকে সঠিক সময়ে তুলে দিতে এই মর্নিং বেল তৈরি করেছি।
ব্যাস্ত রেল ট্র্যাকে অকাতরে ঘুমিয়ে এক ব্যাক্তি।ভাইরাল ভিডিও
সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭- ২০২৮ এর মধ্যে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান ৪। গত বছর ২০২৩-এ ২৩ শে আগস্ট দক্ষিণ মেরুতে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। ঠিক এক বছরের মাথায় জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে ফের চাদের অভিযান। জাপানের রোভার চাঁদের মাটিতে নামবে।