ব্যুরো নিউজ,২ অক্টোবর:মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে সিবিআই সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিত মণ্ডলকে জেরা করেছে। তাদের ফোন রেকর্ডের ভিত্তিতে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই জিজ্ঞাসাবাদ। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, জেরায় দুই ধৃত অসহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে সিবিআই।
আইনি জটিলতার কারণে পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গা
দুর্নীতির পাশাপাশি খুনের মামলাতেও অভিযোগ
আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সন্দীপ ও অভিজিতকে আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলেই জেরা করার জন্য সিবিআই কর্মকর্তারা গতকাল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান। সেখানে তাদের ফোনের রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রশ্ন করা হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সিবিআইয়ের দাবি অনুযায়ী, সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাশাপাশি খুনের মামলাতেও অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, শিয়ালদা আদালতে তারা সন্দীপের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করেছিলেন। আদালতে শুনানির সময় সিবিআই একবার সন্দীপকে হেফাজতে নিতে চাইলেও পরে তা প্রত্যাহার করে। সোমবার শিয়ালদা আদালতে সিসিটিভি এবং ফোনের সিএফএসএল রিপোর্ট এসেছে বলেও জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্দীপ ও অভিজিতকে মুখোমুখি করে জেরা করার আবেদন জানানো হয়।তবে জেরার সময়ে অভিজিত ও সন্দীপের আচরণ সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেরায় তারা অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন। বিশেষ করে খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ লোপাটের বিষয়েও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিন্তু তারা উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন।এদিকে, সন্দীপ ঘোষের কাছের কিছু জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে। একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, খুনের প্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসকদের ভূমিকা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটদানে নতুন নজিরঃ ৬৫ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ল
শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় বিচারকের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে জেরার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিবিআই সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিত মণ্ডলকে জেরা করেছে। এই পুরো প্রক্রিয়া তদন্তের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্ব হিসেবে ধরা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে মামলার গতিপথকে প্রভাবিত করতে পারে।