ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে কানাডা, বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন যে, কানাডায় পড়াশোনা করতে আসা বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২০২৫ সাল থেকে কমিয়ে ৪৩৭,০০০-এ নামিয়ে আনা হবে। বর্তমানে, ২০২৩ সালে স্টাডি পারমিটের সংখ্যা ছিল ৫০৯,৩৯০।ট্রুডো সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এই বছর ৩৫% কম আন্তর্জাতিক ছাত্রদের অনুমতি দেওয়া হবে। পরের বছর, এই সংখ্যা আরও ১০% কমানো হবে।’ তিনি জানিয়েছেন যে, অনেকেই কানাডার সিস্টেমের সুযোগ নিয়ে খারাপ কাজ করছেন এবং তাই এই পরিবর্তন জরুরি।
বিপর্যয়ের চরম অবস্থা বন্যায় ভাসছে হুগলি
‘যারা কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকতে চান, তাদের জন্য নিয়ম বদলানো হবে।’
এই পরিবর্তনের প্রভাব শুধু শিক্ষার্থীদের ওপর নয়, বিদেশী কর্মীদের ক্ষেত্রেও পড়ছে। স্বামী-স্ত্রীর ওয়ার্ক পারমিটের ব্যবস্থাও সীমিত করা হবে। ইমিগ্রেশন মিনিস্টার মার্ক মিলার জানিয়েছেন, ‘যারা কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকতে চান, তাদের জন্য নিয়ম বদলানো হবে।’সরকার ইতিমধ্যেই অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেখানে এপ্রিলে এটি ছিল ৬.৮ শতাংশ। মিলার আরও জানিয়েছেন, অভিবাসনের সংখ্যা কমানো মানেই যে দেশের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে, তা নয়।
আদালতের হস্তক্ষেপে কলতান দাশগুপ্তের জামিন ও তদন্তের নয়া নির্দেশ
কানাডার অর্থনীতিবিদ আরমাইন ইয়ালনিঝেয়ান বলেছেন, অভিবাসন ব্যবস্থায় কাটছাট করলে তা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পিছনে একটি বড় কারণ হল, বিদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী ও চাকরীপ্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ,দেশের সামাজিক কাঠামোকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে।সরকার মনে করছে যে স্থানীয় মানুষদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ বাড়াতে হলে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় জনগণের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।এই পরিস্থিতিতে, কানাডা সরকারের নতুন নীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা।