ব্যুরো নিউজ, ১১ এপ্রিল: রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এর আগেই শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে সরানো সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তারপরই রাজ্যপাল রাজ্যসরকারের সীমারেখা উল্লেখ করে যে রিপোর্ট কার্ড পাঠিয়েছিল তার জবাবে রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। সেখানে রাজ্যপালের এক্তিয়ার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘আচার্য তথা রাজ্যপাল বিধিবহির্ভূতভাবে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন। পড়ুয়াদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
অনবদ্য ফিচারস সহ Bajaj Pulsar NS400 লঞ্চ হতে চলেছে 3 মে, কত দামে পাবেন?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সম্মেলন হয়। সেই সন্মেনলে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে জেলায় তৃণমূলের দুই প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউটও বসানো ছিল ওই সভায়। সেখানে উপস্থিত থেকে ব্রাত্য বসু রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন। শিক্ষাঙ্গনে কেন রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, এরপর রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদ থেকে সরিয়েও দেন। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যে উপাচার্যকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করে রাজ্য সরকার। এরপর বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করেন রাজ্যপাল।
এই আবহেই ফের একবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে! আইনের বাইরে গিয়ে, একক ভাবে রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যের চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। দার্জিলিং হিলস, ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ মুর্মু, উত্তর ২৪ পরগনার হরিচাঁদ গুরুচাঁদ এবং হুগলির রানি রাসমণি গ্রিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। রাজ্যপাল যাতে এই ধরনের নির্দেশ প্রত্যাহার করেন তা নিয়েই রাজ্যপালকে চিঠি দিল শিক্ষা দফতর। এর পাশাপাশি রাজ্যপাল তথা আচার্য যাতে রাজ্যের ৩১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তাও জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অমান্য করে রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একক সিদ্ধান্তে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তিনি। তাই সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেনও উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টিতে রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত দ্রুত নেন।