ব্যুরো নিউজ ১৬ নভেম্বর :কলকাতার রাস্তায় বাসের সংকট যেন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়। একদিকে বাসের অভাব অন্যদিকে চালু বাসগুলোতে ভাড়ার নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। যাত্রীদের অভিযোগ সরকার নির্ধারিত ভাড়ার কোনও চিহ্ন নেই বেসরকারি বাসে। ভাড়া নির্ধারণের মালিক যেন কন্ডাক্টর বা মালিকদের সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর হচ্ছে।
রাশি অনুযায়ী শনিবার দিনটি কেমন যাবে আপনার?
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস এ ব্যাপারে কি বলছেন
“মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি চোর তার পরিবার চোর” বিস্ফোরক শুভেন্দু
লকডাউনের আগে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ৭ টাকা। কিন্তু এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা যদিও সরকারিভাবে এমন কোনও নির্দেশ নেই। যাত্রীরা অভিযোগ করছেন ভাড়ার তালিকা কোথাও দেখা যায় না। কন্ডাক্টরদের মর্জি অনুযায়ী ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন সবাই। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার রেট চার্ট ঝোলানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ সামনে এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’তবে বাস্তবে এই অভিযোগের সুরাহা হচ্ছে না।
শনিবার রাতে হাওড়া ব্রিজ বন্ধ! যাতায়াতের বিকল্প রুট জেনে নিন
বাস মালিকদের দাবি, তারা আর্থিক চাপে পড়েছেন। ডিজেলের দাম লিটারে ১০০ টাকার বেশি। অপারেশনাল খরচ দিনে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভাড়া না বাড়ালে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। জয়েন্ট কাউন্সিলর অব বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘সরকারের উচিত ভাড়া বৃদ্ধির অনুমোদন দেওয়া, নাহলে পরিষেবা চালানো অসম্ভব।’
অন্যদিকে যাত্রীরা বলছেন, বাস পরিষেবার এই বিশৃঙ্খলা তাদের প্রতিদিনের যাত্রাকে চরম অসুবিধায় ফেলছে। অনেকেই বাধ্য হয়ে ক্যাব ব্যবহার করছেন। যা আরও ব্যয়বহুল। গত বছরের হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা থাকার কথা, কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। মালিকপক্ষ ও সরকারের মধ্যে আলোচনা বহুবার হলেও এর কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। সরকার কি পারবে বাস ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য দূর করতে? নাকি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চলতেই থাকবে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কলকাতাবাসী।