ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:এই বছর দুর্গাপুজোর বাজেটে বেশ কিছু কাটছাঁট হয়েছে। পুজোর খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে বাইরের শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান— সবই বাতিল করা হচ্ছে। কোথাও পুজোর আয়োজন হলেও সেখানেও প্রতিবাদের সুর দেখা যাচ্ছে। মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে ‘গুড টাচ, ব্যাড টাচ’ এর সচেতনতা প্রচারের পোস্টার দিয়ে। মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-ছাত্রীর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে প্রতিবাদ। এর ফলে দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। আগে থেকেই শহরের একাধিক বারোয়ারি পুজো কমিটি তাদের অনুষ্ঠান কাঁটছাঁটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারে সেই পথেই হাঁটছে শহরের একাধিক আবাসনও।
চাঁদনি চকে মিছিলঃ সেরিফার কন্যার বিচার চাওয়ার কাহিনী
‘আরজি কর-কাণ্ড’ এর প্রতিবাদ
রাজারহাটের ডিরোজিয়ো কলেজ সংলগ্ন কালী পার্কের আবাসন ‘আরজি কর-কাণ্ড’ এর প্রতিবাদ হিসেবে পুজোর মণ্ডপ সাজাচ্ছে। রাজস্থানের প্রাসাদের আদলে সাজানোর পরিকল্পনা বাতিল করে গ্রামের চিত্র তুলে ধরতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে ‘গুড টাচ, ব্যাড টাচ’ সংক্রান্ত পোস্টার থাকবে এবং মেয়েদের আত্মরক্ষায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।মুকুন্দপুরের একটি বহুতল আবাসনে পুজোর আয়োজনে সংকোচন করা হয়েছে। বাইরের শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং চার দিনের খাওয়াদাওয়া সংক্ষিপ্ত করে শুধুমাত্র অষ্টমীতে ভোগের আয়োজন করা হবে।ওই আবাসনের উদ্যোক্তা সুবীর বসাক বলেন, “এ বছর উৎসব করার মতো অবস্থা নেই। তাই সব কিছু কাটছাঁট করা হচ্ছে।”
যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুঃ ‘আলু’র বিতর্কিত উপস্থিতি ডাক্তারদের মিছিলে
গড়িয়াহাটের ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন্সের আবাসনও একইভাবে বাজেট কমিয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে এবং বিসর্জনে জাঁকজমক বাদ দেওয়া হয়েছে। উৎসব কমিটির সদস্য রঙ্গন কোলে বলেন, “এ বছর সরকারি অনুদানও নিচ্ছি না। বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে।”এদিকে, প্রতিবাদ জানালেও কিছু আবাসন পুরনো নিয়মে পুজো আয়োজন করতে প্রস্তুত। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দুই মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে, তাই বড় কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব হচ্ছে না। টালিগঞ্জের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোডের একটি আবাসনের উদ্যোক্তা জানান, “আমরা প্রতিবাদে অংশ নিয়েছি, কিন্তু পুজোর আয়োজন তো আগেই হয়ে গেছে।”