ব্যুরো নিউজ,১৫ জুলাই: ক্যান্সার- শব্দটি শুনলেই মানুষের বুকের ভেতর আলাদা একটা আশঙ্কার ভীতি জেগে ওঠে। কিন্তু সেই ভীতি কি আস্তে আস্তে নির্মূল হয়ে যেতে পারে? যা জানা গিয়েছে, বিশ্বের সেরা ডাক্তাররাও যেটার সমাধান করতে পারেননি, আইআইটি দিল্লির একজন পি এইচ ডি স্কলার বিদিত গৌর ব্রেন ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসায় নতুন থেরাপির উদ্ভাবন করেছেন। এই মারাত্মক রোগের চিকিৎসায় ইমিউনোসোম থেরাপির কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বলেই জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই থেরাপি নেওয়ার পরে রোগীর ব্রেন ক্যান্সার একেবারে নির্মূল হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাণীদের উপরে পরীক্ষা সফল হয়েছে। এবার শীঘ্রই মানুষের উপরে পরীক্ষা শুরু হবে।
মন খারাপ?কয়েক মূহুর্তে আপনার মন ভালো করতে পারে হাতের মুঠোফোন
গবেষণায় নয়া থেরাপির উদ্ভাবন, সেরে যাবে ক্যান্সার
এখনো পর্যন্ত গ্লিওব্লাস্টোমা ব্রেন ক্যান্সারের ওষুধ বা কোনো প্রতিকার নেই। এটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলেই মনে করা হয়। আর আইআইটির পিএইচডি স্কলার সেই ওষুধটি তৈরি করেছেন। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। প্রায় ৫ বছর সময় লেগেছে এই গবেষণায় সাফল্য পেতে। পিএইচডি স্কলার বিদিত গৌর গবেষণা করে এই ইমিউনোসোম থেরাপির উদ্ভাবন করেছেন। ২০১৯ সালে ১০টি ইঁদুরের ৫টি গ্রুপ নিয়ে গবেষণা শুরু করা হয়েছিল। ইঁদুরের মধ্যে ইনজেকশন দেওয়ার ১০ দিন পরে ইমিউনোসোম থেরাপি শুরু হয়। আর তারপরেই ২৪ দিনের মধ্যে টিউমারগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়।
আয় করা টাকা জলের মতো খরচ হচ্ছে, কীভাবে টাকা জমাবেন, নয়া টিপস জেনে নিন
আইআইটির পিএইচডি স্কলার বিদিত জানান, একজন রোগীকে যদি ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য প্রচলিত দুটি ওষুধের একটি দেওয়া যায়, তাহলে হয়তো ফুসফুসের ক্যান্সার সারবে। কিন্তু লিভারের ক্ষতি হবে। সাইডএফেক্ট এর কারনেই ওষুধগুলি ক্লিনিক্যাল অনুমোদন পায়নি। আর এই দুটি ওষুধের সমন্বয়েই ইমিউনোসোম থেরাপি উদ্ভাবন করেছেন বিদিত। যা একেবারে ব্রেন ক্যান্সার নির্মূল করে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, বিদিত আরো জানান, ইঁদুরের ওপর থেরাপি পরীক্ষা করেছেন। ফলাফলে দেখা গেছে এর ব্যবহার শুধু ব্রেন ক্যান্সার নির্মূল করে তাই নয়, কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। এই থেরাপি ব্যবহার করলে ক্যান্সার পরে আর ফিরে আসে না। কারণ সাধারণত ক্যান্সারের চিকিৎসায় এরকম মনে করা হয়, সেরে যাওয়ার পরেও ফের ফিরে আসতে পারে।