ব্যুরো নিউজ,১৪ অক্টোবর:বক্স অফিসে চলছে রমরমা। অনেক ছবি ৩০০ কোটি, ৫০০ কোটি, এমনকি ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা করছে। কিন্তু এর মধ্যেই সিনেমা হলে দর্শকদের সংখ্যা কমছে! এটি কীভাবে সম্ভব? সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডের বেশ কিছু ছবির ব্যবসা ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, সেগুলোর দর্শক সংখ্যা ১৯৯০ বা ২০০০ সালের ছবিগুলোর দর্শক সংখ্যার কাছাকাছিও পৌঁছাচ্ছে না।
এফএমসিজি বিপ্লবঃ মুদির দোকানের ভবিষ্যৎ সংকটে?
আগ্রহ কমছে
ট্রেড বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকের যে ছবিগুলো হিট হচ্ছে, তার পেছনে দর্শকদের বিপুল সংখ্যা নেই। বরং, এই ছবিগুলোর টিকিটের দাম প্রচুর বেড়ে গেছে। বর্তমানে একটি সিনেমার টিকিট কিনতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে, তা অনেক বেশি।যেমন, এই বছরের ‘স্ত্রী ২’ ছবিটি ভারতীয় বক্স অফিসে ৩ কোটি দর্শক টানতে পেরেছে।’গদর ২’ এবং ‘জওয়ান’ও তেমনই দর্শক পেয়েছে। কিন্তু ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিটি ৭.৩৯ কোটি দর্শক টেনেছিল। আবার ‘বাহুবলী ২’ ছবিটি ৫.২৫ কোটি এবং ‘গদর এক প্রেম কথা’ দেখেছিল ৫.০৫ কোটি দর্শক।
গণইস্তফার আবহে শুভেন্দুর কার্নিভাল বয়কটের আহ্বান, রাজনীতিতে চাঞ্চল্য
ফলে, এটা স্পষ্ট যে সিনেমা হলে দর্শক সংখ্যা কমছে, কিন্তু টিকিটের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। প্রতিবছর ভারতের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করে টিকিটের দাম বাড়ানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক জনপ্রিয় ছবি ‘গদর ২’ এবং ‘জওয়ান’ যথাক্রমে ৩.৫ কোটি ও ৩.১ কোটি দর্শক পেয়েছে। অন্যদিকে, ‘পাঠান’ ও ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিগুলো দেখেছে মাত্র ২.৯ কোটি মানুষ।এর ফলে, ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ফুটফলে প্রায় ৮ শতাংশ হ্রাস দেখা গেছে। করোনাকালীন আগে তুলনায় এখনকার টিকিটের দাম প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। মিন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ সবই দর্শকদের সিনেমা হলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে।